পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719604658](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্যাবল নেটওয়ার্কে স্থানীয় বিজ্ঞাপন ও অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সেই সময়সীমার পরে কেউ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরদের সংগঠন কোয়াব ঐক্য পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠন প্রতিনিধিদের বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। বাংলাদেশে যে তিন কোটি টেলিভিশন ব্যবহার হয়, এটি ধরে নেওয়া হয়। সেই ক্ষেত্রে আপনারা ক্যাবল নেটওয়ারর্কের মাধ্যমে টেলিভিশন চ্যানেল পৌঁছে দিচ্ছেন। আগে শুধু শহরে সীমাবদ্ধ ছিল, এখন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও ক্যাবল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আমাদের একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, যে যে কাজের জন্য লাইসেন্স নিয়েছেন তাদের লাইসেন্সের সেই শর্ত মানতে হবে। লাইসেন্সের শর্তগুলো সবাই সঠিকভাবে যদি পালন করে তাহলে এই খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় না। লাইসেন্সের শর্ত সবার মানা প্রয়োজন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য যারা লাইসেন্স নিয়েছেন তারা শুধু ক্যাবল নেটওয়ার্কই পরিচালনা করবেন, সেখানে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। সেখানে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ নেই, সিনেমা দেখানো বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান দেখানোর সুযোগ নেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন স্থানে ক্যাবল নেটওয়ার্কে স্থানীয় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, যেটি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী করা যায় না। তারপরে সেখানে অনকে সময় সিনেমা চালানো হয়, গানের অনুষ্ঠান চালানো হয়, যেটি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী করা যায় না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষে থেকে একটি আহ্বান জানানো হয়েছিল- বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোকে সামনে রাখতে হবে। প্রথমে সরকারি চ্যানেল। বিটিভির চারটি চ্যানেল- বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ড, সংসদ টিভি এবং বিটিভি চট্টগ্রাম। এগুলো প্রথমে, এরপর বাংলাদেশের অন্য চ্যানেলগুলো প্রতিষ্ঠার সময় ধরে সিরিয়ালে রাখতে হবে, সেটি অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয় না। তিনি বলেন, আমি অনুরোধ জানাবো- আপনাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সবাইকে অতিসত্বর জানিয়ে দেওয়া- লাইসেন্সের বাইরে যেন কেউ কোনো কাজ না করেন। যেমন আপনাদের নেটওয়ার্কে কোনো বিজ্ঞাপন না দেখানো, কোনো নিজস্ব অনুষ্ঠান না দেখানো, একই সঙ্গে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোকে সিরিয়ালি রাখা। এই কাজগুলো করতে পারলে এখানে যে বিশৃঙ্খলা সেটিকে আমরা একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারবো।
মন্ত্রী বলেন, আপনাদের যেসব সদস্যরা এখনও সঠিকভাবে নিয়ম পালন করছেন না তাদের জানিয়ে দিন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবো, সেই সময়সীমার পরে যদি কেউ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে কাজগুলো করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী জানান, ডাউনলিংক করে যে দু’টি প্রতিষ্ঠান, তাদের নোটিশ দিয়েছিলাম, তারা প্রাথমিক জবাব দিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ জবাব দিতে দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে। সেই সময় দেওয়া হয়ছে, সেটি এখনও শেষ হয়নি। আমি অনুরোধ জানাবো বিদেশি চ্যানেলে কোনো বিজ্ঞাপন যাতে প্রদর্শিত না হয় এক্ষেত্রেও আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।