পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বোরোতে হাসছে বগুড়ার ক্ষেত খামার। পাকতে শুরু করেছে ধান। মে মাসের শুরু থেকেই কাটা মাড়াই শুরু হবে। এখন পর্যন্ত বড় ধরণের বৈশাখী ঝড় বা শিলা বৃষ্টি না হলেও পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার আগে পর্যন্ত স্বস্তি নেই চাষিদের। চাষিদের অস্বস্তি আরো বেড়েছে ধানকাটা কামলার (মজুর) সঙ্কট ও উচ্চ মজুরি নিয়ে। পাশাপাশি বাজারে ধানের দাম কম নিয়েও চরম আশঙ্কায় আছে চাষিরা।
চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বোরো চাষে বাম্পার ফলন হলেও চাষিদের লাভ তেমন একটা হবে না। তারা বলেন উচ্চমূল্যে সার, বীজ, বালাইনাশক কিনে ও কামলাদের উচ্চহারে মজুরি দিয়ে ধান ঘরে তুলে বিক্রির সময় কম দামের কারণে তাদের কিছুই থাকে না ।
এ প্রসঙ্গে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের প্রান্তিক বোরোচাষি মুকুল মিয়া জানান এবার তিনি ৪ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। এক বিঘা জমিতে তার চারা ক্রয় ও রোপনে এক হাজার ৯০০, নিড়ানীতে এক হাজার, বালাইনাশকে ৬০০, নিড়ানীতে এক হাজার টাকা করে খরচ করতে হয়েছে।
সামনে কাটামাড়াই বাবদে আরও এক হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় করতে হবে। তার হিসেবে সব মিলিয়ে মোট খরচ আট হাজার ৮৯০ টাকা । এর বিপরীতে তার আশা হয়তো বিঘা প্রতি গড়ে ১৬ মন ধান তার ঘরে উঠবে। যদি বাজারে ৬০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করা যায় তাহলে চাষের খরচ উঠবে।
তারপরও কেন বোরোর চাষ করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুকুল মিয়া হেসে বলেন, ঘরের চালে ভাত তো খাওয়া হবে। ধান বিক্রি করে এক সাথে কিছু নগদ টাকাও আসবে। তাছাড়া ধান কাটা মাড়াইয়ের পর যে খড় পাওয়া যাবে তা দিয়ে সারা বছরের গবাদি পশুর খাবার মেটানো যাবে। এটাই বোরো চাষিদের লাভ। বগুড়ার হাট বাজারে এই মুহূর্তে মোটা ধান ৬০০ থেকে ৬৫০, চিকন ধান ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া সদরের লেংড়াবাজার এলাকার তরুণ নাহিদ পাশের ঘোড়াধাপ হাটে ৬০০ টাকা দরে ঝনঝনে শুকনো মোটা ধান বিক্রি করে জানালেন, এই ধান ৮০০ টাকাই বেচতে পারলে বেশ লাভ হতো। তার মতে হাটবাজারের ফড়িয়া অটো রাইস ও চাতাল মালিকরাই লাভের ফায়দা তুলছে। চাষিদের কাছে সস্তায় ধান কিনে তারা চাল বানিয়ে ইচ্ছামত দরে বিক্রি করে। চালের পাশাপাশি রাইসবার্ণ, ধানের তুষ, খুদ বিক্রি করেও লাভ করে থাকে। ঠকে শুধু অসহায় ধানচাষি আর হতভাগা তো ঐ চালের ক্রেতারাই।
বগুড়ার কৃষি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়ায় এবার এক লাখ ৮৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাত লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন চাল। কৃষি বিভাগের মতে বগুড়ায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও শতভাগ পূরণ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।