পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চৈত্র মাস থেকে গরম পড়তে শুরু করেছে। এ গ্রীষ্মে তা আরো ব্যাপক হয়েছে। কালবৈশাখীর তান্ডব, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পাশাপাশি গরমও পড়তে শুরু করেছে। দু’পা হাঁটলেই লোকজন ঘামতে শুরু করেন। ভোর ও দুপুরের তাপমাত্রার যথেষ্ট ফারাক থাকছে এখন। ঠান্ডা-গরমের এই তারতম্য প্রভাব ফেলে মানবদেহে।
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ছোট-বড় অনেকের সর্দিকাশি, জ্বর এবং পেটের রোগের মতো বিভিন্ন ধরনের অসুখ হচ্ছে। তাই ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে গ্রীষ্মকালে নানা ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। প্রাত্যহিক খাদ্যতালিকাও যথোপযুক্ত হওয়া উচিত।
গরমের সময় প্রথম কথাই হল- প্রচুর পানি খেতে হবে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে তিনটি অসুখ বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিকেন পক্স, পেটের সংক্রমণ এবং সাধারণ ঠান্ডা লাগা কমন কোল্ড। চিকেন পক্স এক ধরনের ভাইরাস-ঘটিত রোগ। এই রোগ প্রাণঘাতী নয়। সাধারণ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলেই চিকেন পক্সের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, প্রতিরোধ করা যায়।
প্রথমত কারও যদি চিকেন পক্স হয়, তবে তার ঘরের বাইরে বার হওয়া একদম বারণ। স্কুল-কলেজ বা অফিস যাওয়া একেবারেই উচিত নয়। চিকেন পক্স যেহেতু একটা ছোঁয়াচে রোগ, তাই আক্রান্ত কারও সঙ্গে মেলামেশা করা ঠিক নয়। দ্বিতীয়ত, চিকেন পক্সে আক্রান্ত রোগীর উচিত চুপচাপ ঘরে থেকে টানা বিশ্রাম নেওয়া এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র খেতে হবে।
গরম পড়া শুরু হলেই দেখা যায় যে, অনেকে সর্দিকাশি এবং জ্বরে পড়ছেন। এই উপসর্গকেই ‘কমন কোল্ড’ বা সাধারণ ঠান্ডা লাগা বলা হয়ে থাকে। একটু গরম পড়লেই অনেকেই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাওয়া শুরু করেন। গরম থেকে এসে হঠাৎ ঠান্ডা পানি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। তাতে কমন কোল্ড হয়।
এ সময় দিনের বেলা গরম পড়লেও ভোরের দিকে একটু ঠান্ডা ভাব থাকে। এই ঠান্ডা-গরমের ফারাকের কারণে কমন কোল্ড হতে পারে। সে কারণে ভোরের দিকে ঠান্ডা-ঠান্ডা ভাব অনুভব করলে সুতির মোটা জামা পড়া উচিত, যাতে কোনো ভাবে ঠান্ডা না লেগে যায়।
গরমে ব্যাপকভাবে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তাপমাত্রার ফারাক এবং গরমের কারণে এমনিতেই মানুষের হজমের একটু সমস্যা হয়। গরমের এই সময়ে অত্যধিক মশলাযুক্ত খাবার খেলে পেটের সংক্রমণ হতে বাধ্য। তাই যা খুশি তাই খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। তাতে পেটের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
গরমের মওসুমে অত্যধিক মশলাযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা দরকার। এই সময় মাছের পাতলা ঝোল, ডাল, ভাত, রুটি এবং হাল্কা-মশলার তরিতরকারি পরিমাণ মতো খেতে হবে। রেড মিট এবং তেল ও মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তার সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি। গরমের সময় ফলের রস খাওয়াও খুব প্রয়োজন। এই কয়েকটা বিষয়ে লক্ষ্য রেখে খাওয়া দাওয়া করলে গরম কালের এসব অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সূত্র : আন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।