পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর কৃত্রিম সরবরাহ ঘাটতি বরিশাল মহানগরীর সুস্থ্য-স্বাভাবিক জনজীবনকে বিপন্ন করে তুলছে। জরুরী চিকিৎসা সেবা থেকে পানি সরবরাহ পর্যন্ত বিপর্যস্ত। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা নির্বিশেষ বিদ্যুৎ নিয়ে মহা বিড়ম্বনায় গোটা নগরবাসী। প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পশ্চিম জোনের ২১ জেলার সাথে বরিশাল মহানগরীর বিদ্যুৎ বিতরন ও সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়নে (?) প্রকল্প কাজ চললেও বাস্তবে আকাশে মেঘ জমলেই এ নগরীতে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। গত শনিবার রাতে মাত্র ২৯ নটিক্যাল মাইল বেগের ঝড়ে রূপাতলী-কাশিপুর ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের তার ছিড়ে পুরো কাশিপুর সাব-স্টেশনটিই বন্ধ হয়ে যায়। একই সাথে রূপাতলী-পলাশপুর ৩৩ কেভি লাইনটিও বন্ধ হয়ে যায় জাম্পার ছিড়ে। ফলে একযোগে নগরীর ১৪টি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা।
এর সাথে কাশিপুর ৩৩ কেভি সাব-স্টেশনটির ১০ এমভিএ’র দুটি ট্রান্সফর্মারই ওভার লোড হয়ে প্রতিনিয়ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে সাব-স্টেশনটির ৮টি ফিডারে। নগরীর ১১ কেভি বিতরন লাইনগুলোও নানা গোলযোগে বন্ধ থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টা। গত রোববার সকালে আবার রূপাতলী সাব-স্টেশনে কাশিপুর ৩৩ কেভি লাইনের বাজবারে ‘রেডহার্ট’ হয়ে আরো প্রায় ঘন্টাখানেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল ৮টি ফিডারে।
অপরদিকে নগরীর হাতেম আলী কলেজ ফিডারটি কাশিপুর সাব-স্টেশন থেকে সরিয়ে রূপাতলী সাব-স্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় কাজ চলছে ঢিমে তালে। কিন্তু একই পোলের ওপর একটি ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনসহ আরো তিনটি ১১ কেভি সরবরাহ লাইনের সাহায্যে বিশাল এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা নগরবাসীকে কতটা স্বস্তি দেবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। নগরীর প্রায় এক লাখ গ্রাহককে ওজোপাডিকো’র দুটি বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও তা এ নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে পারছে না। মূলত ২০০৫ সালে ওজোপাডিকো গঠিত হয়েছিল, তা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারছেনা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। বিদ্যুৎ বিতরন কোম্পানী গঠিত হবার পরে কর্মীদের বেতন-ভাতাই বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশী, কিন্তু সেবার মান ক্রমবনতিশীল বলে সুস্পষ্ট অভিযোগ গ্রাহকদের। অথচ এ সময়কালে বিদ্যুতের দামও বেড়েছে প্রায় ৩ গুন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী থেকে শুরু করে একজন লাইনম্যান ও হেলপারের কাছ থেকেও গ্রাহকগন সুষ্ঠু সেবা পাচ্ছেন না। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট বরিশাল মহানগরীতে জরুরী চিকিৎসা সেবা ও পানি সরবরাহসহ শিক্ষা ব্যবস্থাকেও বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে। শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপরও ক্রমাগত বিরূপ প্রভাব পড়ছে। প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পশ্চিম জোনের ২১ জেলার সাথে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলা সদর ও কয়েকটি উপজেলার বিদ্যুৎ বিতরন ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ চলছে। ২০২০-এর জুন থেকে ’২১-এর জুনের মধ্যে ঐ দুটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নতির কথা বলছেন কর্তৃপক্ষ। তবে এখানের বিতরন কোম্পানীর অনেক দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগও সুস্পষ্ট।
এসব বিষয়ে ওজোপাডিকোর স্থানীয় উর্ধ্বতন প্রকৌশলীদের সাথে আলাপ করা হলে বার বারই নানা আশার কথা শোনালেও বাস্তবে তা অসাড় প্রমানিত হচ্ছে। এসব বিষয়ে ওজোপাডিকো’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক-কারিগরির সাথে আলাপ করা হলে, তিনি বিষয়গুলো দেখছেন বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।