পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে গরুর গোশতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে নরসিংদীর গোশত ব্যবসায়ীরা। প্রথম দফায় প্রতি কেজি ৪২০ থেকে বেড়ে ৪৫০ টাকা করা হয়। গতকাল থেকে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। কোন কোন ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি বছর রমজান মাস এবং রমজানের ঈদ এলেই ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে গরুর গোশতের দাম বাড়িয়ে দেয়।
একবার গোশতের দাম বাড়লে পরে আর কখনো দাম কমেছে বলে নজির পাওয়া যায়নি। সাধারণ স্বল্পআয়ের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে গরুর গোশতের স্বাদ থেকে। এই দুর্মূল্যের বাজারে সাধারণ মানুষ এখন গরুর গোশত খাওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারছে না। জানা গেছে, স্বল্প আয়ের মানুষের গরুর গোশত খাওয়ার বিনাশ ঘটিয়েছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। রমজান এলেই ঢাকার গোশত ব্যবসায়ীরা সিটি কর্পোরেশনের একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে গোশতের বাজার মূল্য বাড়িয়ে নিতো। এভাবে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বাড়িয়ে দিত সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।
এমনিভাবে মূল্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত গরুর গোশতের দাম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৯৬ সালের পর থেকে দেশের এক শ্রেণির টিভি চ্যানেলের বদৌলতে গরুর গোশতের দাম হো হো করে বাড়তে থাকে। টিভি চ্যানেলগুলো ঢাকার বাজারের গরুর গোশতের দাম প্রচার শুরু করলে নরসিংদীর গোশত ব্যবসায়ীরা ঢাকার বাজারের সাথে তুলনা করে নরসিংদীতে গরুর গোশতের দাম বাড়িয়ে দেয়।
ওই সময় ১ কেজি গরুর গোশত ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা হয়ে যায়। এরপর থেকে বছরের চাকা ঘুরে আর গোশতের দাম বাড়ে। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে নরসিংদী শহর এলাকার বাজারগুলোতে এক কেজি গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকায়। গ্রামের বাজারগুলোতে বিক্রি হতো ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা করে।
রমজান মাসকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা হঠাৎ কেজিপ্রতি গোশতের দাম বাড়িয়েছে ১০০ টাকা। এভাবেই স্বাধীনতা উত্তরকালের ৪৭ বছরে গরুর গোশতের দাম কেজি প্রতি ৩০, ৪০, ৫০, ১০০ টাকা করে এখন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে এসে দাঁড়িয়েছে। গরুর গোশতের এই মূল্য এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।