পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা বোরখা পরে নুসরাতের শরীরে আগুন লাগিয়ে হত্যা করেছে, তারা কেউ ছাড় পাবে না। তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
গতকাল বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মেয়েটিকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখজনক, মেয়েটি আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। তাকে হত্যা করা হয়েছে বোরখা পরে হাত মুখ ঢেকে। ওকে আগুন দেওয়া হয়েছে। এরা কেউই ছাড়া পাবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠাতে চেয়েছিলাম। তবে তার শারীরিক অবস্থা সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার মতো ছিল না। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এখানে চিকিৎসা চলেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য মেয়েটিকে বাঁচানো গেল না। বিনা কারণে মেয়েটিকে হত্যা করা হলো। এর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড়ব না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তাদের পেতেই হবে।
তিনি বলেন, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার এই পথটি বিএনপি-জামায়াত দেখিয়ে দিয়েছে। এই আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারতে দেখেছি পাকিস্তানীদের। বিএনপি-জামায়াতও পেট্রল ঢেলে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এছাড়া ভবনে অগ্নিকান্ডে মানুষ মরার বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা দরকার বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ আমাদের কিছু সমস্যা ছিল। আমরা এগুলো কঠোর হস্তে দমন করেছি। আর কিছু সামাজিক সমস্যা আছে সমাধানের চেষ্টা করছি।
নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলা নববর্ষ, আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলে উদযাপন করি। এটি বাঙালির বড় উৎসব। এটিকে আনন্দঘন করতে আমি ভাতারও ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সৈয়দ রেজাউল রহমান, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রফেসর আব্দুল খালেদ, প্রফেসর হামিদা বানু, মুকুল বোস, অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, ড. মশিউর রহমান, ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীরসহ অন্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।