Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলেন আমরা এক সঙ্গে রাস্তায় নামি

সভায় নজরুল ইসলাম খান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। এই সরকারকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা স্বৈরাচারী বলে চিহ্নিত করেছে। বিশ্বের কোনো স্বৈরাচারি সরকার জনগণের আন্দোলনের মধ্যে টিকে থাকতে পারেনি। তাই আসুন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সবাই এক সাথে নামি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে গতকাল ‘জিয়া আদর্শ একাডেমি’ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ সকল কারাবন্দি নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে, ১৯ মার্চ জয়দেবপুরে আর্মির অস্ত্র কেড়ে নিয়ে আমরা আর্মির সঙ্গে লড়াই করেছিলাম। ঢাকায় মিছিল হয়েছিল ‘জয়দেবপুরের পথ ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, আজকে ৭২ বছর বয়সে আমাকেই সেই কাজ করতে বলেন? না আপনাদেরও দায়িত্ব আছে। তারপরও বলছি, আছি আপনাদের সাথে, শুধু সাথে না, আপনাদের সামনেই থাকবো। চলেন আমরা একসাথে নামি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। তিনি খুবই অসুস্থ। তাকে যদি মুক্ত আলো বাতাসে আনা না যায়। যদি তার সঠিক চিকিৎসা করা না যায়, তাকে আমরা হারাবো। আর তাকে হারালে আপনার আমার কার কত দাম সেটা আমাদের জানা আছে। তাই তার আন্দোলনের সঙ্গী হাবিব উন নবী খান সোহেলের মতো যারা বন্দি আছেন, তাদের মুক্ত করার জন্য যে লড়াই প্রয়োজন আসুন সেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেই।
তিনি বলেন, আমরা যে শহরে বাস করি সেটা দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি দূষিত শহর। অথচ সরকার দাবি করে উন্নয়ন হচ্ছে। কার উন্নয়ন হচ্ছে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে যারা সবচেয়ে ধনবান লোক, তারা যে গতিতে আরও ধনি হচ্ছে সেটা বিশ্বের মধ্যে প্রথম। বাংলাদেশ এক নম্বরে, যে দেশে ধনিরা আরও অনেক দ্রুত ধনি হচ্ছে, আর গরিবরা আরও দ্রæত গরিব হচ্ছে। এইতো বাংলাদেশ। এটাইতো আমাদের উন্নয়নের ধরণ। কিছু লোক ধনি হচ্ছে, তাদের কাছে টাকা আছে, তারা সরকারকে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে। সরকার সেই টাকা দিয়ে বিভিন্ন এজেন্সিকে আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগায়।
বিশ্বের কোনো স্বৈরাচারি সরকার জনগণের আন্দোলনের মধ্যে টিকে থাকতে পারেনি উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ফিলিপিন্সে মার্কোসের দমননীতির বিরুদ্ধে জনগণ যখন রাজপথে ট্যাংকের সামনে শুয়ে পড়েছিল তখনই মার্কোসের পতন হয়েছিল। ওই পরিমাণ সাহস কি আপনাদের আছে? মুখে আছে, যেদিন কাজে দেখাতে পারবেন, সেদিন এই সরকারের পতন হবে।
দলীয় নেতাকর্মীরা ঘরের মধ্যে যে রকম জালাময়ী বক্তব্য দেন তা বাইরে দেখানোর আহবান জানিয়ে এই শ্রমিক নেতা বলেন, আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্যে যেকোনো আন্দোলনের প্রতি আমরাও আগ্রহ আছে। আপনারা মুখে যেমন বলেন কাজে দয়া করে তেমন দেখান, দেখবেন অনেক বড় আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যবস্থা হবে। সেটা না করা পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার হবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আজম খানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, কৃষক দলেরর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মৎসজীবি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ