পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাঁদপুরে মসজিদে ফজর নামাজের জামাত চলা অবস্থায় ইমামের উপর নারীদের হামলার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ মুসুল্লীরা বিক্ষোভ করেছেন।
অন্যদিকে ইমামের বিরুদ্ধে উত্যক্ত করার অভিযোগ তুলেছেন হামলাকারী নারীদের বাবা। গত বুধবার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ কুটির বাজার জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। কুটিরবাজার জামে মসজিদে মো. সৈয়দ আহাম্মেদ প্রতিদিনের ন্যায় ফজর নামাজের জামাত পরিচালনা করছিলেন। সালাম ফেরার পর মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির ৩ জন নারী বোরকা পরে মসজিদে ঢুকে ইমামের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তাৎক্ষনিক মুসল্লিরা হামলাকারী নারীদের আটক করেন। মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতির মেয়ে হওয়ায় পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মসজিদের মোয়াজ্জেন সিরাজ উল্যা, মুসল্লি বসির আহমেদ, তানভীর হোসেন জানান, ইমামের সাথে এলাকার নুরুল আলমের মেয়ে রিমার (১৬) বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। ইমাম তা’ প্রত্যাখ্যান করেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল আমিনের পরিবার ইমামকে হুমকি দেয়। মসজিদ কমিটির কাছে ইমাম সাহেব নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ করে আসছিলেন। ঘটনার দিন ইমামকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী রায়পুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি ও হামলাকারী নারীদের বাবা নুরুল আলম সর্দার জানান, আমার মেয়ে রুমানা আক্তার রিমাকে হুজুর প্রায়শই উত্যক্ত করতো। সভাপতির কাছে নালিশ করে কোন ফল পাইনি। হামলার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, মুসল্লি ও এলাকাবাসীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। বুধবার সকালে আমার বড় মেয়ে রিক্তা সুলতানা শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে এলাকাবাসী তার উপর অর্তকিত হামলা করে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকার মুসুল্লিরা একত্রিত হয়ে হামলাকারী নারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তাছাড়া গণস্বাক্ষরে অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, এই মসজিদের ইমাম শিবির ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত।
মসজিদ কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইমাম সাহেবকে নিয়ে নুরুল আমিনের মেয়েকে জড়িয়ে কথা ওঠে। আমি ইমামকে চলে যেতে বলেছি। তিনি চলে গেলেও স্থানীয় কিছু লোক পুনরায় তাকে নিয়ে আসে।
রূপসা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান ইসকান্দার আলী বলেন, শুনেছি ইমামের সঙ্গে তিন বোনের একজনের প্রেমের সম্পর্ক আছে। বিয়ের প্রস্তাবে ইমাম রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মরিচের গুঁড়া ও পাইপ দিয়ে আঘাত করে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হলে বিষয়টি নিয়ে বসবো।
এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম ছৈয়দ আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাড়ি হাইমচর উপজেলার গন্ডামারা গ্রামে বলে জানা গেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব মুঠোফোনে বলেন, এলাকার বেশ কয়েকজন আমাকে মোবাইল ফোনে ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছে। এ পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।