পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নুসরাতের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, নুসরাতের মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শেখ হাসিনা নুসরাতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এদিকে গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা মামলা প্রয়োজনে দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে একটি অভিযোগপত্র দিতে হবে। আমি আপনাদের বলছি এরকম মামলা যখনই হবে এটাকে ফাস্ট ট্র্যাক করবে। আমি প্রসিকিউশসনকে নির্দেশ দেব, যাতে এটাকে ফার্স্ট ট্র্যাক করা হয়। কোনো প্রশ্নেরও প্রয়োজন হবে না।
এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সচিবালয় নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, রাফির মৃত্যুতে আমরা সবাই দুঃখ প্রকাশ করছি। আসলে আমরা সবাই ব্যথিত। এ ধরনের মৃত্যু সবাইকে ব্যথিত করে। তিনি বলেন, ঘটনাটি কী ঘটেছে তা জানতে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্ত ভার নিয়েছে। এটার বিচার কাজ যাতে খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয় সেই ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। পিবিআইও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটার চার্জশিট দেবে। আমরা এটাকে খুব সিরিয়াসলি নিয়েছি। ঘটনায় জড়িত কোনো আসামিই বাদ যাবে না। সবাইকে বিচারের মুখোমুখী করা হবে।
অধ্যক্ষ গ্রেফতারের পর তার মুক্তি চেয়ে অনেকে মানববন্ধন করেছে- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা এ ধরনের কর্মকান্ড করছেন হয়তো তারা না জেনেই করছেন। তারা যদি জানতেন এই অধ্যক্ষ কিংবা যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তাদের জন্য তারা দাঁড়িয়েছেন তবে হয়তো এ কান্ডটি করতেন না। তাদের হয়তো ভুল ধারণা আছে যে অধ্যক্ষ নির্দোষ। তদন্তে প্রমাণিত হবে সে দোষী নাকি নির্দোষ। কিংবা সে কতখানি দোষ করেছে। অবশ্যই অপরাধীর শাস্তি হবে।
সোনাগাজী থানার ওসির ভূমিকা সঠিক থাকলে হয়তো আগুনো পোড়ানোর ঘটনা ঘটত না। ওসির শাস্তি বদলিই কী যথেষ্ট- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় বলি যেই অপরাধ করুক, যে ওসি হোক বা যেই হোক, তাকে বিচারের মুখোমুখী হতে হবে।
উল্লেখ্য, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত এ বছর আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে গত মার্চে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করে নুসরাতের পরিবার। সেই মামলা তুলে না নেয়ায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়।
এরপর ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হলে ১৮ বছর বয়সী নুসরাতের সম্ভাব্য সর্বাত্মক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী । সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারির সমন্বয়ক সামন্তলাল সেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকেছেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু নুসরাতকে বিদেশে নেয়ার মতো অবস্থা নেই। কারণ তার দেহের ৮০ শতাংশ ঝলসে গেছে। বুধবার ডা. সামন্তলাল সেন সাংবাদিকদের জানান, নুসরাত রাত সাড়ে নয়টার দিকে মারা গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।