Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

টেকসই উন্নয়নের জন্য গবেষণা অপরিহার্য

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অধিকতর গবেষণার জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই গবেষণার ওপর। গবেষণার জন্য আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করতে পেরেছি। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতিকে টেকসই করতে হবে। আর একমাত্র গবেষণাই পারে তা করতে। এজন্য যারা এখানে বিজ্ঞানী ও গবেষক আছেন আরো ভাল করে গবেষণা করুন, যাতে আরো কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশি উৎকর্ষতা লাভ করতে পারে।
গতকাল সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গবেষণা ও বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ ছিল। এ ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিতে তিনি কাজ করেছেন। আমরাও বিজ্ঞান ও গবেষণার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা প্রযুক্তির উন্নয়নে ইতোমধ্যে জাতীয় আইসটি নীতিমালা করতে যাচ্ছি। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, ইন্টারনেট সংযোগ আমরা দিয়েছি। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে গবেষণার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।
গবেষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় কোথায় আমাদের আরো বেশি বিনিয়োগ করা দরকার সেইভাবেই আমাদের দেশের জলবায়ু, মাটি, পানি সবকিছু নিয়েই আপনাদের কাজ। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সবাই কাজ করবেন সেটাই আমি চাই। কারণ বিশ্বের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে চলবো সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, আমরা কারো কাজ থেকে পিছিয়ে থাকবো না সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কারণ ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। তাদেরকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে হবে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান থেকে নিয়ে সর্বক্ষেত্রে আমি মনেকরি গবেষণাই হচ্ছে একমাত্র পথ। সবক্ষেত্রে গবেষণাই হচ্ছে একমাত্র পথ। গবেষণার মধ্যদিয়েই সমাজকে আমরা গড়ে তুলতে পারি।
আল্লাহর রহমতে এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশ। অর্থনৈতিকভাবেও আমরা যথেষ্ট স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, কাজেই আমাদের দেশে আরো বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এবং গবেষক তৈরী হোক সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সাইন্স এন্ড আইসিটি’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আ ফ ম রুহুল হক।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং গবেষকদের মাঝে গবেষণা অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে ও সব কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক মেধাবী। কাজেই তারা পিছিয়ে থাকতে পারে না এবং থাকবেও না। সেই সুযোগটা আমাদের করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, এদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭৩ সালে এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রতিষ্ঠা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথ ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রযুক্তিনির্ভর, জ্ঞানভিত্তিক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। সরকার ইতঃপূর্বে গৃহীত জাতীয় আইসিটি নীতিমালা-২০১৪-কে আরও আধুনিক করে ‘জাতীয় আইসিটি নীতিমালা-২০১৮’ প্রণয়নের কাজ করে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট’ গঠন করেছি। এই ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে ও বিদেশে অধ্যয়ন ও গবেষণার জন্য ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে বলেন, অতীতে দেখা গেছে ট্রাস্ট ফান্ড না থাকার দরুন অনেক গবেষণা কর্মকান্ডই অর্ধেক চলার পরে পরবর্তী সরকার এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। সেটা যেন আর না হয়।#



 

Show all comments
  • Mohammad Ashraf Uddin ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    টেকসই উন্নয়নের জন্য বেকাত্ব দূর করতে হবে। আমলা তান্ত্রিক জটিলতা হ্রাস করে দেশে শিল্পায়ণ করা জরুরী। দেশি বিদেশী বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরী করা প্রয়োজন। কুটির শিল্প স্হাপনে সহযোগিতা বাড়ান। জনশক্তি রপ্তানির নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধান করুন। দূর্নীতি রোধ করুন। সরকারী কাজে গতিশীলতা আনুন। সঞ্চয় পত্রে অপ্রত্যাশিত বিনিয়োগ করে কিন্তু শিল্প কারখানায় করে না, কারণ সঞ্চয় পত্রে মূলধন হারানোর সুযোগ থাকে না, মূনাফাও আসে। আর আমলা তান্ত্রিক জটিলতা, ঘুষ দূর্নীতি, সরকারী কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে অনেকে শিল্প স্হাপনে বিনিয়োগ করে না। একটা ছোট্ট শিল্প কারখানা স্হাপন করার অনুমতি নিতে মাত্র ১০৫ জন কর্মকর্তার স্বাক্ষর লাগে, আর প্রতি টেবিলে টেবিলে দিতে হয় ঘুষ। ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সস্তা শ্রম ও সস্তা ভূমি থাকা সত্বেও এদেশে বিনিয়োগ করে না। তারা মালয়েশিয়াকে বেচে নেয়, কারণ শিল্প স্হাপনে সে দেশের সরকার সহযোগিতা করে। সেখানে আমলা তান্ত্রিক জটিলতা কম। স্বাধীনতার পর থেকে এদেশে আমলারা যে ক্ষতি করেছে তা বলাই বাহুল্য। বিশ্ব যেখানে ৬ মাসে বছর ধরে দ্রুত গতিতে কাজ করে, সেখানে আমাদের দেশের আমলারা ১৮ মাসে বছর হিসেব করে। সচীবদের কাছে মন্ত্রীরা অসহায়। ক্ষেত্র বিশেষে জিম্মি। দূর্নীতির চোরা পথ সচীবরাই মন্ত্রীদের দেখান। সারা জীবন মিটিং মিছিল জনসভা করে একজন নেতা যখন মন্ত্রীত্ব পান তিনি প্রশাসনের কিছুই জানেন না। সচীবরা তাঁদের দূর্নীতির মারপ্যাচ, চোরা পথ দেখায়। তারপর মন্ত্রীরা লোভে পড়ে শুরু করেন দূর্নীতি তবে সবার ক্ষেত্রে নয়। এ সব সচীবরা এও বলেন, স্যার পাঁচ বছরের জন্য এসেছেন আবার ক্ষমতায় আসতে পারেন কি না সন্দেহ। ক্ষমতায় এলেও মন্ত্রীত্ব পান কি না, তাই সময় সুযোগ থাকতে আখের গুছান। টু পাইস কামান। এভাবে প্রশাসনে বিছিয়ে দিয়েছে লোভের জাল। এই জাল ছিড়তে হবে কিন্তু সচীবরাতো পাঁচ বছরের জন্য নয়, মন্ত্রী আসবে মন্ত্রী যাবে কিন্তু সচীব থাকবে ষাট বছর। সুতরাং বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধিবে কে????
    Total Reply(0) Reply
  • Somir Uddin ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    দেশ ধ্বংস করে যা ইচ্ছা তাই বলছ
    Total Reply(0) Reply
  • Nazrul Islam ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    সাথে মিথ্যা বলাও জরুরী।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohamod Samim ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    ব্যার্থ সবাই
    Total Reply(0) Reply
  • Bachu Miyan ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    বেশি গবেষণা করে আজ বিনা ভোটে ক্ষমতাই টিকে আছো
    Total Reply(0) Reply
  • Mahfuza Khanamjoy ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    আপনার সু নজর প্রয়োজন। ঐ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে দিন।
    Total Reply(0) Reply
  • কর্নেল গুলজার ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    শুধু কেমনে রাতের আদাঁরে ভোট ডাকাতি করে জিততে পারবে সেই গবেষণা করে
    Total Reply(0) Reply
  • Khondokar Alam ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    সবার আগে গনতন্ত্র টিকসই করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Rabiul Hossain ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    সব জায়গায় বাঁশ দিলে গবেষণা করে লাভ কি,সব কিছুর আগে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ