পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে মোটামুটি সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিয়ত দলের সাধারণ সম্পাদকের খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। কয়েকবার ফোনেও কথা হয়েছে দুইজনের।
যতদিন ওবায়দুল কাদের শারীরিকভাবে সুস্থ না হবেন ততদিন সিঙ্গাপুরে থেকে চিকিৎসা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে বলেছেন। কারণ দেশে আসলেই নেতাকর্মীদের ভিড়ের জন্য তার চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে এবং তার ওপর শারীরিক চাপ পড়তে পারে। দেশের বিষয়ে কোনো ধরনের চাপ না নিতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে অবশ্য চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মধ্য এপ্রিলে দেশে ফিরতে পারবেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী পরিপূর্ণ চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরতে বলেছেন। এদিকে সিঙ্গাপুরেও ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে নেতাকর্মীদের ভিড় লেগেই আছে। সেখানে চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি যেন না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ৫ এপ্রিল সিঙ্গাপুর স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৩টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ওবায়দুল কাদের। এরপর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কাছেই ভাড়া নেয়া একটি ফ্ল্যাটে উঠেছেন তিনি। এর আগে ২০ মার্চ তার বাইপাস সার্জারি করা হয়। আপাতত এই ফ্ল্যাট থেকেই চিকিৎসা নেবেন সেতুমন্ত্রী।
দলের নেতারা বলছেন, ওবায়দুল কাদের কর্মীবান্ধব নেতা। দেশে ফিরতে কর্মীদের চাপ রক্ষা করা কঠিন হবে। দলের নেতা এবং এমপি-মন্ত্রীরাও নিয়মিত সাক্ষাত করতে আসবেন। ফলে তার শারীরিক চাপ পড়বে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া এর আগে নিজের হার্টের সমস্যা জানার পরেও চিকিৎসায় সময় ব্যয় করেননি কাদের। তাই এবার এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
এদিকে মোটামুটি সুস্থ অবস্থায় ওবায়দুল কাদেরের একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। তাতে দেখা যায়, দীর্ঘ চিকিৎসা আর জটিল সব অস্ত্রোপচারের ধকল কাটিয়ে ওবায়দুল কাদের এখন যথেষ্টই সুস্থ। মুজিব কোট পরিহিত কাদের হাস্যোজ্জ্বল মুখে বসে আছেন।
একটি ছবিতে রয়েছেন ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইশরাতুনেচ্ছা কাদের। আর কাদেরের পাশেই বসে আছেন মাউন্ট এলিজাবেথের চিকিৎসক ডা. ফিলিপ কোহ। তিনিই ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি করেছেন। ছবিতে কাদেরের পেছনে রয়েছেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সুখেন চাকমা। অন্য একটি ছবিতে ওবায়দুল কাদেরকে দেখা গেছে তার চিকিৎসক দলের সঙ্গে। সফল একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই দলটিই তাকে সুস্থ করে তুলেছেন।
গত ৩ মার্চ ভোরে ঢাকায় নিজ বাসায় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃৎপিন্ডের রক্তনালীতে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়ে। এরমধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের (রিং পরানো) মাধ্যমে দ্রুত অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। পরদিন প্রখ্যাত হৃদরোগ সার্জন ডা. দেবী শেঠি ভারত থেকে এসে দেখেন ওবায়দুল কাদেরকে। তার পরামর্শে সেদিনই (৪ মার্চ) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়।
সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কাদেরের চিকিৎসায় গঠন করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আনুষাঙ্গিক চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ২০ মার্চ ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি করা হয়। পরে আইসিইউ থেকে ২৬ মার্চ কেবিনে নেয়া হয় তাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।