পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ধামাচাপা পড়ে গেল বগুড়ায় অপারেশনে হুমায়রা আকতারের মৃত্যুর পর তথ্য গোপন রেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কৌশলে বিল আদায় করে অন্যত্র রেফার্ড করার ঘটনাটি।
ইনকিলাবের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মৃত হুমায়রাকে নিয়ে যখন অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার বাবা-মা বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কনফার্ম হয়ে ফের মালেকা নার্সিং হোমে ফিরে আসে এবং কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্যাডার ও নেতা সেখানে জড়ো হয়ে তাদের প্রতি সহানুভূতির অভিনয় করে এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে দেনদরবার শুরু করে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে বাগে আনতে এক পর্যায়ে তারা ভিতরে ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও মিডিয়াকর্মীরা উপস্থিত হলে ঘাবড়ে যায় ক্লিনিক পরিচালকরা। প্রথমে ১ লাখ পরে যে কোন মূল্যে ঘটনাটি মিটমাট করতে হুমায়রার বাবা-মা ও তার স্বজনসহ যাকে যাকে প্রয়োজন তাকেই ম্যানেজে রাজি হয়ে যায়। এর পরেই বদলে যায় হামলা ভাঙচুর ও প্রতিবাদকারীদের স্বরূপ। যারা হুমায়রার বাবা-মা, মামাকে ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করতে উৎসাহ দিচ্ছিল তারাই এবার তাদেরকে দ্রুত বগুড়া থেকে কেটে পড়তে বলে এজন্য হুমকি ও মৃত মেয়ের বিনিময়ে মোটা টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখোনো হয়। ফলে লোভ ও চাপের প্রেক্ষিতে মৃত হুমায়রাকে নিয়ে নিজ গ্রামে ফিরে যায় তার বাবা-মা। পরে তার দাফনও সম্পন্ন হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বগুড়ার সিভিল সার্জন ও বগুড়া সদরের ওসি সাংবাদিকদের বলেন, কেউ মামলা ও অভিযোগ না করলে করার কিছু নেই ।
তবে ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। নাট্যজন বখতিয়ার অরিফ আগা লিখেছেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে ডাক্তারদের সাধারণত শাস্তি পেতে হয়না। সাবেক ক্রিকেটার শহীদুল ইসলাম লিখেছিলেন, দেখবেন সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে মাত্র দুই দিনের মধ্যে।
শাহীনুর রহমান শাহীন লিখেছেন, কি আর হবে। জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটিয়েছে স্বনামধন্য ডাক্তার, তার মানহানী করার নেই আর দরকার। দফারফা করছে তো প্রশাসন। সাংবাদিক সমাজ আর লিখে কি করবেন ?
ডা. এমএ মতীন বলেছেন, সব টনসিল কেন অপারেশন করতে বলা হয়। এটা কি ফায়দা হাসিলের কৌশল ?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।