Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যার সতর্কতা পদ্ধতি উন্নত করতে হবে

ক্ষতি কমাতে বুয়েটে বিশেষজ্ঞদের অভিমত

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বাংলাদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের হাওরের কৃষকদের ক্ষতি কমাতে বন্যার আগাম সতর্কতা পদ্ধতি উন্নত করার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। গতকাল বুধবার বুয়েটের কাউন্সিল ভবনে আয়োজিত ‘ফ্লাশ ফ্লাড ফোরকাস্টিং এন্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এ মত ব্যক্ত করেন। সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া এ কর্মশালায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বুয়েটের ভিসি প্রফেসর ডঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন, এলজিইডি এর চীফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আবুল কালাম আজাদ, বিডব্লিউডিবি’র মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহফুজুর রহমান প্রমূখ। মোট ৫টি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গবেষকগণ এ বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
ইফাদ এর সহযোগিতায় এলজিইডির এইচআইএলআইপি প্রজেক্টের অধিনে এলজিইডি যৌথভাবে বিএমডি, বুয়েটির আইডাবব্লিউএফএম ‘ডেবেলপমেন্ট ফ্লাশ ফ্লাড আর্লি ওয়ারর্নিং সিস্টেম, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এন্ড লজেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট ফর হাওর রিজন অফ বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রজেক্ট চালাচ্ছে। এই প্রজেক্ট বাংলাদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের নদীগুলোতে আকস্মিক বন্যার আশু সতর্কতা পদ্ধতি উন্নত করণে কাজ করছে। কর্মশালার মাধ্যমে এ প্রজেক্টের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল মারাত্মকভাবে আকস্মিক বন্যা প্রবণ অঞ্চল। ২০১৭ সালে পাহাড় থেকে ধেয়ে আসা ভারি বৃষ্টির পানিতে আকস্মিক বন্যায় হাওর অঞ্চলের ৯০ ভাগেরও বেশি ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ধরণের বন্যায় কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষার জন্য খুব কম সময় পায়। এটা দ্বারা প্রমাণ হয় যে প্রচলিত বন্যা ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের আরও ভাবার বিষয় রয়েছে। তাই আগাম সতর্কতা প্রদান পদ্ধতিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। বর্তমানে দেশে এফএফডাব্লিউসি ও বিডাব্লিউবি অধিকাংশ সময়ই বর্ষাকালের শুরুতে ‘সুপার মডেল’ এর মাধ্যমে ব্যনার সতর্কতা প্রচার করে থাকে। কিন্তু উত্তরপূর্বাঞ্চলের দরিদ্র কৃষকদের ক্ষতি কমাতে একটি নিদিষ্ট সময়ের আগে আরও শক্তিশালী ও উৎকৃষ্ট আগাম সতর্কতা পদ্ধতি আবিষ্কার করা খুবই জরুরি।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়া অঞ্চল সবচেয়ে বেশী আকস্মিক বন্যা প্রবণ অঞ্চল। আমি দায়িত্ব নেয়ার পরই কয়েকবার এসব অঞ্চলে গিয়ে কিভাবে দরিদ্র কৃষকদের ক্ষতি লাগব করা যায় তা নিয়ে কাজ করেছি। জতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রীও হাওর অঞ্চলের মানুষদের নিয়ে ভাবেন। বাংলাদেশের নদীগুলোর প্রসস্থতা কমে যাওয়াও বন্যার একটি কারণ হতে পারে। সভাপতির বক্তব্যে কর্মশালায় যোগদেয়ায় অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বুয়েট ভিসি প্রফেসর ডঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ নদীর উৎস ভারতে। ফলে বর্ষকালে ঐ অঞ্চলের পানির কারণে উত্তরপূর্বাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রচলিত বন্যা সতর্কতা পদ্ধতি আরও শক্তিশালী ও আধুনিক করার মাধ্যমে দরিদ্র কৃষকদের ক্ষতি লাগব করতে হবে। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার এখনই উপযুক্ত সময়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ