পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশের মাঠে মাঠে এখন সবুজ আর সবুজ। মাঠ ভরে গেছে বোরোতে। ঝড়-বৃষ্টিতে আল্লাহর রহমতে কোনরূপ ক্ষতি হয়নি ধানের। আশা করা হচ্ছে এবার বাম্পার ফলন হবে। গতকাল দেশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে মাঠে বোরো ধানের প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (ফিল্ড সার্ভিস উইং) কৃষিবিদ ড. আব্দুল মুঈদ। তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ইনশাআল্লাহ বোরোতে টার্গেটের চেয়েও অধিক ফলন হবে। বর্তমানে চারিদিকে সবুজের সমারোহ। কৃষকরাও ধানের অবস্থা দেখে খুবই খুশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে সারাদেশে ৪৮লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৪দশমিক ২ মেট্রিক টন হিসাবে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৫হাজার ৪ মেট্রিক টন চাল। ধারণা করা হচ্ছে বড় ধরণের প্র্কাৃতিক দুর্যোগ না হলে উৎপাদন ২ কোটি মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে।
মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা ড. আখতারুজ্জামান জানান, চলতি আবাদ মৌসুমে দু’টি বৃষ্টি হওয়ায় সেচ খরচ সাশ্রয় হয়ে কৃষকদের। সাধারণত এই সময়ে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। এবার কোথাও রোগ-বালাইয়ের উপদ্রব হয়নি। তার কথা, আমরা সার্বক্ষণিক মাঠে তদারকি করি। এখনও পর্যন্ত বোরো ধানের ব্যাপারে কোন দুশ্চিন্তা নেই। কৃষকরা নির্বিঘ্নে ধান পরিচর্যা করছেন।
বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, ধানের অবস্থা খুবই ভালো। আমাদের কথা ধান ওঠার সময় যাতে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় সেদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তা না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খাদ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, এবার সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এটি হলে কৃষকরা খুবই উপকৃত হবেন।
এদিকে, বিএডিসি সূত্র জানায়, বোরো ধানে সেচের পানি উত্তোলনের ফলে অতীতের প্রায় প্রতিটি মৌসুমে কমবেশী সেচযন্ত্র ড্র-ডাউন করতে হয়। এবার তেমন খবর পাওয়া যায়নি। মাটিরতলার পানি সম্পদের উপর চাপ পড়েনি। বৃষ্টি হওয়ায় এবং সেচযন্ত্রের পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে জমিতে দেওয়ায় পানি অপচয়ের হাত থেকে অনেক রক্ষা পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।