স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। আপনারা যারা আত্মসমর্পন করলেন তাদের আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে চরমপন্থীদের আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার চরমপন্থীদের সুস্থ জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় সাড়া দিয়ে আপনারা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশা নিয়ে আত্মসমপর্ণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা দিয়েছেন যারা এখনও অন্ধকার জগতে রয়েছেন তাদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা যদি ফিরে না আসে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারি বলেন, পথচ্যুত মানুষদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশ পুলিশ তাদের আইনী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আইজি বলেন, উগ্র ও চরমপন্থী দমনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল। যেসব চরমপন্থী আত্মসমর্পন করছেন তাদের আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে, যাতে তারা মূল স্রোতধারায় স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরে আসতে পারেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত নারী আসনের (পাবনা-সিরাজগঞ্জ) এমপি নাদিরা ইসলাম জলি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন, পাবনা-১ আসনের এমপি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আসনের এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৩ আসনের এমপি মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, পাবনা-৫ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স, রাজশাহী-৪ আসনের এমপি প্রকৌশলী এনামুল হক, পাবনার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন। সভাপতির স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম।
এর আগে আত্মসমর্পনকারীদের মাঝে আর্থিক প্রণোদনা বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে পাবনাসহ ১৪টি জেলার ৫৯৫ জন চরমপন্থী সদস্য আত্মসমর্পন করেন। অনুষ্ঠানে ৫৭৫টি দেশী অস্ত্র ও ৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেন চরমপন্থীরা।