পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) সড়ক মেরামত ও উন্নয়নে এবং খুলনা শহরে পানিবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে মোট ১৪শ’ কোটি টাকার দু’টি মেগা প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। প্রথম দফায় ওই দু’টি প্রকল্পের ৬৫ কোটি টাকার আরএডিপিতে বরাদ্দ আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রায় ৬০৮ কোটি টাকার প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গত ৯ অক্টোবর ’১৮ চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। তার কয়েক দিন আগে একনেকে পাস হয় অপর একটি মেগা প্রকল্প। প্রকল্পটি হচ্ছে পানিবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন। এ খাতে পাস হয়েছে ৮২৩ কোটি টাকা।
৪ বছর মেয়াদী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পানিবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে নগরবাসী। এ দু’টি প্রকল্প পাসের মধ্য দিয়ে কেসিসি প্রায় একই সাথে ১৪শ’ ৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ শুরু করবে।
এ মেগা প্রকল্প দু’টি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন খুলনা নগরী গড়ে উঠবে বলে নাগরিক নেতারা মনে করেন। তাদের মতে, এ প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পানিবদ্ধতার অভিশাপ থেকে নগরবাসী মুক্তি পেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কেসিসির গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন এবং পুনর্বাসন প্রকল্পের উদ্যোগী মন্ত্রণালয় হলো স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে কেসিসি। প্রকল্পের মেয়াদ হচ্ছে ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত।
এছাড়া ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্পের মূল অংশে রয়েছে ৯টি প্রধান সড়কের ৬২ কিলোমিটার এলাকায় প্রাইমারি ড্রেন, নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভেতরে প্রায় ১২৮ কিলোমিটার সেকেন্ডারি ড্রেন (৩ ফুটের কম), প্রধান ড্রেনগুলোর মধ্যে মুজগুন্নী মহাসড়কের উভয় পাশে ফুটপাতসহ দু’পাশে ৮ কিলোমিটার ড্রেন, যশোর রোডের ডাকবাংলো মোড় থেকে নতুন রাস্তা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন, খানজাহান আলী রোডের পিটিআই মোড় থেকে রূপসা ঘাট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার নতুন ড্রেন, একই সড়কের ফেরিঘাট বাস টার্মিনাল থেকে রয়্যালের পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কিছু পরিকল্পনা সময় সাপেক্ষে পরিবর্তন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশে মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রকৌশলীদের এস্টিমেট প্রণয়নের নির্দেশনা প্রদান করেন। সে মতে, প্রকৌশলীরা কাজের তালিকা অনুযায়ী তা বাস্তবায়নের জন্য এস্টিমেট তৈরি সম্পন্ন করেছেন। আবার কিছু কাজের এস্টিমেট তৈরি শুরু করছেন।
এছাড়া সড়ক মেরামত ও উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যাপারে কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী-২ লিয়াকত আলী খান জানান, সড়ক মেরামত ও উন্নয়নে ৬০৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার প্রকল্পের মধ্যে জিওবি ৪৮৬ কোটি টাকা এবং নিজস্ব অর্থ ১২১ কোটি টাকা। যদিও উভয় প্রকল্প অনুমোদনের সময় ম্যাসিং ফান্ড প্রধানমন্ত্রী মাফ করে দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়ার জন্য বলে দেন।
সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৪ কোটি টাকা। আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে এসব কাজের দরপত্র ধারাবাহিকভাবে আহবান করা হবে। এলটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করা হচ্ছে। গত ২৮ মার্চ টেন্ডারের নোটিশ ছাড়া হয়েছে। ওই নোটিশে ১০টি কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। এ কাজের বিপরীতে ৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।