পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জোট ও দলগতভাবে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। গতকাল সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জোটের বৈঠকের পর ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান একথা জানান।
তিনি বলেন, সভায় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সুচিকিৎসার স্বার্থে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছে। এই দাবিতে জোটগতভাবে এবং জোটের শরিক দলগুলো নিজ নিজ উদ্যোগে কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা মনে করি যে, দেশনেত্রীর মুক্তির সঙ্গে গণতন্ত্রের মুক্তি একাকার হয়ে গেছে। আমরা গণতন্ত্রের মুক্তি চাই। ২০ দল দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কী কর্মসূচি হবে সে বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে ঠিক করা হবে বলে জানান জোটের সমন্বয়ক।
এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে কোনো টানাপোড়ন নেই। আমরা পাশাপাশি আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। সর্বশেষ গত ৩১ জানুয়ারি জোটের বৈঠক হয়।
এদিকে জোটের বৈঠকে ২০ দলীয় জোটকে কম গুরুত্ব দেয়ায় কয়েকজন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা যায়। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের পরীক্ষিত সহযোগী ২০ দলীয় জোটের পরিবর্তে ঐক্যফ্রন্টকে বেশি গুরুত্ব দেয়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ২০ দলীয় জোট বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন। সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেকে নির্যাতিত হয়েছেন কারাগারে গেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করার পর সেটিকেই বিএনপির গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। তারা অতীতের রাজনৈতিক ভূমিকাকে বিবেচনায় রেখেই দুই জোটকে মূল্যায়ন করার দাবি জানান।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান জানান, ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জোটের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালনের দাবি জানানো হয়েছে।
এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়। জোটের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কর্মসূচি ঘোষণার পরামর্শ এবং দাবি জানানো হয়। বিএনপি নেতারা ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে পৃথক পালনের পালন করা হবে বলে জানান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে মাওলনা নুর হোসেইন কাশেমী, মাওলানা মহিউদ্দিন একরাম, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানী আজহারুল ইসলাম, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার চৌধুরী বুলবুল, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।