Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সচিবালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, অফিস করছেন না প্রধানমন্ত্রী

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হার ৬৬.৬৭ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

প্রশাসনে প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের এক নম্বর ভবন তুলনামূলক ভূমিকম্প ও অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ। একারণে ওই ভবনে অফিস করা ছেড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সরকারের চলতি মেয়াদে প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।গত বছরের একই সময়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমেছে। গত বছর এ হার ছিলো ৬৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রথম ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য এসেছে। সরকারের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি উঠে আসে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম একথা বলেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক এবং অফিস করেন ৬ নম্বর ভবনে। সে ভবন ঝুকিমুক্ত রয়েছে।
এদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে বিভিন্ন প্রকল্প এবং পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয়। তখন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সমস্যা সমাধানে আরও একটি ২০ তলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও সচিবালয়ে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শিগগিরই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করতে বলা হয়েছে হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, গত ৭ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৫টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৩৬টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে ২৪টি। ১২টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৭টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই সময়ে সিদ্ধান্ত হয় ৬৩টি। এরমধ্যে ৪৩টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন ছিলো ২০টি। বাস্তবায়নের হার ছিলো ৩১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত ৭ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ২টি নীতি বা কর্মকৌশল এবং একটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদিত হয়েছে। এ সময়ে সংসদে আইন পাস হয়েছে ৫টি। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৩টি নীতি বা কর্মকৌশল এবং ৪টি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদিত হয়েছে। এ সময়ে সংসদে ১৫টি আইন পাস হয়েছে। সচিব শফিউল আলম বলেন, গত ৪ মার্চ থেকে ৬ মার্চ শিল্পমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর সম্পর্কেও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।



 

Show all comments
  • Mahmud Sohel ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগুন লাগার পরেও নিজের কর্মচারীদের আগে অফিস থেকে বের করেছেন তারপর নিজে বের হয়েছেন। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভয়ে সচিবালয়ে যান না কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ঠিকই অফিস করা বাধ্যতামূলক।
    Total Reply(0) Reply
  • Khan Hannan Khan ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
    মৃত্যুকে যখন এতো ভয়, তা হলে দেশের জনগণকে জিম্মি করে রেখেছেন কেন? বিনা অপরাধে এই বয়সে বেগম জিয়াকে জেলে রেখেছেন কেন? বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতন করছেন কেন? ক্ষমতায় এসে কতো মানুষকে খুন করছেন সে হিসাব আছে? কবরের কথা ভাবছেন একবারও? কতো মানুষের অভিশাপ আপনার উপর, আপনি অনুমান করতে পারেননা, জনগণ ঠিকই অনুমান করছে। আপনার জন্য দেশের ৯০% মানুষ আজ অশান্তিতে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Masum Billah Sourav ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
    আপনি চিন্তা করবেন না আফিস চালিয়ে যান, আপনি বংগবন্ধুর কন্যা আপনারে ভবন কিছু করতে পারবেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Khan Dinar ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
    সচিবালয় গতবছর যেমন ছিল, গতকাল যেমন ছিল ঠিক আজকেও তেমন আছে। আগামীকালও এমন থাকবে। এটা আজকে যদি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে সেটা গতকালও ছিল। হঠাৎ করে আজকে ভেঙে পড়পড় হয়নি। আসলে এটা হলো চামচা ও তোষামোদকারীদের ক্যামচামির চূড়ান্তপনা। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে আসল লোকদের চেয়ে চামচাদের বেশি মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। কেউ বলে, "ম্যাডাম যে কোন সময় অফিস ভেঙে পড়তে পারে।" কেউ বলে, "বিএনপি এই সুযোগ নিতে পারে।" কোন চামচা বলে, "আমরা আপনাকে হারাতে পারবো না।" বড় চামচা বলে, "আপনি এই ঝুঁকিপূর্ণ অফিসে গেলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে।" এরকম বিভিন্ন নাটক চলছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যখন আশেপাশের লোকদের ব্যর্থতার জন্য একজন ব্যক্তির উপর ন্যস্ত হয় তখন একনায়কতন্ত্র দেখা দেয়। একনায়ককে উঠতে বসতে খুশি করার জন্য আশে পাশের লোকজনের মধ্যে ছাগলামী দেখা দেয়। প্রতিযোগিতা ছিল খুশি করে নিজের স্বার্থ হাসিল করার। এগুলো তারই প্রতিফলন।
    Total Reply(0) Reply
  • অসমাপ্ত ভালোবাসা ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
    নিজেকে নিয়ে এতো ভাবেন,জনগণের কথা যদি একটুও ভাবতেন,তাহলে এতো গজব পরতো না দেশে!!!
    Total Reply(0) Reply
  • সাদা কালো ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
    ঝুঁকিপূর্ণ জেনে অফিস করছেন না বেতন তো ঠিকই পাবেন। আমরা যদি অফিস না করি আমাদের তো বেতন কেটে নিবে। আমরা তা হলে কি করবো?? বিঃদ্রঃ আমরা বেসরকারী চাকরিজীবী
    Total Reply(0) Reply
  • Rafiqul Islam ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
    আসলে নতুন করে বাজেট দিয়া সব কিছু নিজেদের মত কইরা বানানোর চেষ্টা । এতে দুই লাভ এক বাজেটের টাকা দুই নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahriar Parvez ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
    আচ্ছা বুচ্ছি তো। ভাইংগা ফালাইয়া নতুন কন্ট্রাক্টর দিয়া নতুন বাড়তি বাজেটে বিল্ডিং করবেন। সমস্যা নাই, আমাগো কোষাগার ত আপনিই দেখভাল করতাছেন। শুধু বহুতল আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং দিয়া বানাইয়েন নতুন সচিবালয়। আর অনেক উঁচা বানাইয়েন যেন এক জায়গায় সব মন্ত্রণালয় আর তাগো গাড়িও ধইরা যায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Aysha Ahmed ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
    আগুন লাগলে পানির অভাব দূর করার জন্য রাজধানীর যেখানে যেখানে সম্ভব জলাশয় বা জলাধার তৈরি করা। রাজধানীর ধানমন্ডি, গুলশানসহ যেসব লেক রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ করা। আগুন লাগলে ৩০ তলা পর্যন্ত যাওয়ার জন্য বর্তমানে তিনটি সুউচ্চ মই (ল্যাডার) রয়েছে। এই সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করা।
    Total Reply(0) Reply
  • Aysha Ahmed ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো হচ্ছে: বহুতল ভবন তৈরি করার ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস সাধারণত একটি ক্লিয়ারেন্স দেয়। সেক্ষেত্রে এখন ক্লিয়ারেন্সই যথেষ্ট নয়, এটি পরিদর্শন করে এখানে বহুতল ভবন নির্মাণযোগ্য কি না তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • AR Rahman ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
    তাহলে ওই ভবনের সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হোক সবার জীবনের মূল্য সমান।
    Total Reply(0) Reply
  • Kaisar Uzzaman ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
    সরকার যেখানে আইন মেনে চলছে না মানুষকে কিভাবে আইন আওতায় আনবে?
    Total Reply(0) Reply
  • MD Masud Rana ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
    সচিবালয়ের যদি এই অবস্থা হয় তবে সরকারি অন্য সব ভবনের কি অবস্থা চিন্তা করা যায়।
    Total Reply(0) Reply
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ২:২৩ পিএম says : 0
    বঙ্গবন্ধুকে নেতারা বললেন আপনাকে ওমূক মানুষ খুব খারাপ ভাষার সমালোচনা করছেন। উত্তরে বঙ্গবন্ধু বললেন আমি তার হয়তো কোন উপকার করতে পারিনী সমালোচনার কি সুন্দর উত্তর। এখন বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে প্রভাবশালী নেতা। দেশের রাজনীতি আর অর্থনীতির সুচকের সব স্হানে শতভাগ এগিয়ে। এই বিশ্ব নন্দিত দেশ বরন্য নেতার কাছে আমাদের রাজনীতির মাঠের প্ররাজিত শক্র পাকিস্তানের উদাহরণ দিয়ে খুশির গীত শুনান। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির জীবন মান আর আমি আদা ব্যাপারীর মান কি এক সমান। সমালোচনা অবশ্যই করা যাবে। তা গঠন মুলক ও সিমা অতিরিক্ত করা ভাল নয়। য়ার পরিবারের সবাই কে ভয়ংকর নির্মমভাবে শহীদি কাপনের কাপড় পরালেন। এত মৃত্যুর পরও বেচে আছেন কি ভাবে জানি না। তাকে আটার বিশ বার হত্যা করতে চেয়ে ছিলেন। একুশে আগষ্ট ভয়াবহ হত্যাকান্ড শত শত পঙ্গু আহত। এটি কোন রাজনৈতিক দর্শন। এই মমতা ময়ী মা বঙ্গমাতার সন্তান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। দেশ আজ উন্নয়ন রোল মডেল। এগিয়া য়াও মা জননী এই দেশের লক্ষ কোটি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা আছে থাকবে। যে দেশে কাচা মরিচ তরকারি রাজনীতির আলোচনা সমালোচনা হয়। ঝড়বৃষ্টি বেশি হলে হলেও সমালোচনা চলে। এভাবে আর কতদিন চলবে?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ