Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০২৪, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দগ্ধ ছাত্রীকে সিঙ্গাপুরে নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ডাইং ডিক্লারেশনে বক্তব্য দেন সেই মাদ্রাসাছাত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ফেনীর সোনাগাজীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী ‘ডাইং ডিক্লারেশন’ (মৃত্যুশয্যায় দেয়া বক্তব্য) দিয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা পরিহিত চারজন তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই চারজনের একজনের নাম ছিল শম্পা। অন্যদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন সেই ছাত্রীকে সিঙ্গাপুরে নেয়ার নির্দেশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী সচিব ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ওই ছাত্রীকে দেখতে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আসেন এবং এ কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ওই ছাত্রী একজন চিকিৎসকের কাছে বক্তব্য দেন। মুমূর্ষু রোগীদের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য নেয়া হয়ে থাকে, যা পরবর্তী সময়ে আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
জবানবন্দীতে ওই ছাত্রী বলেন, ঘটনার দিন কেন্দ্রে ঢোকার পর একটা সময় তাঁকে ছাদে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি নেকাব, বোরকা, হাতমোজা পরিহিত চারজনকে দেখতে পান। তাঁদের মধ্যে মূলত কথা বলছিলেন একজন। তিনি মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বলেন এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ অসত্য এ কথা বলতে চাপ দেন। মাদ্রাসাছাত্রী এতে অস্বীকৃতি জানালে ওই চারজন ওড়না দিয়ে তার হাত বেঁধে ফেলেন। তার গায়ে ওঁরা কিছু একটা ছুড়ে দেন। তারপর বলেন, যা এবার পালা। গায়ে আগুন লাগা অবস্থাতেই তিনি দৌঁড়ে পালান। চারজনের কেউ কারও নাম উচ্চারণ না করলেও কোনো একপর্যায়ে একজন শম্পা বলে একজনকে ডাকেন। তিনি যে কণ্ঠ শুনেছেন, তা নারীকণ্ঠ। তবে মুখ ঢাকা থাকায় কাউকে চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ ওই ছাত্রী বলেন, ওড়নাটা ছাই হয়ে যাওয়ার পর হাতের বাঁধন খুলে যায়।
গত শনিবার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে কৌশলে মেয়েটিকে ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। ওনাকে ওই ছাত্রীর অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছি। পরে তিনি নির্দেশ দেন দগ্ধ ছাত্রীর উন্নত চিকিৎসা জন্য সিঙ্গাপুরে কথা বলতে, যদি ওনারা ওই ছাত্রীকে নিতে রাজি হন, দ্রুত তাকে সেখানে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সিঙ্গাপুরে জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তার অবস্থা দিন দিন খাপার হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ