পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পাবনাসহ দক্ষিণ ও উত্তরের ১৫ জেলার ৬ শতাধিক চরমপন্থীর সদস্যরা আত্মসর্মপণ করবেন আজ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে পাবনা শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে বিকালে এই আত্মসমপর্ণ অনুষ্ঠিত হবে।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম.পিপিএম এবং জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, র্যাব সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এনেছেন। সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন পুলিশ সুপার। নিরাপত্তার ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। পাবনার নাগরিকদের এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য মাইকে প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। সুন্দর জীবনে ফিরে আসার জন্য আয়োজনে রাখা হয়েছে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন ফোক আই কোন মমতাজ এমপি।
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর চরমপন্থীরা আত্মসমপর্ণ করছে। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের কাছে আত্মসমপর্ণ করেছিলেন, চার শতাধিক চরমপন্থী। তাদের পুনর্বাসন করা হয়। এবারও আত্মসমপর্ণকারীদের সরকার পুনর্বাসন করবেন।
এর আগে গতকাল অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি পাবনা প্রেসক্লাবে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে বলেন, আত্মসমপর্ণকারী দলগুলো ছাড়াও এই কাজে বিভিন্ন বাহিনী নামে গঠিত দল এই সুযোগ নিতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পুনর্বাসন করে সুন্দর জীবন গড়ার পথ তৈরি করে দেবেন।
এক সূত্রে জানা গেছে, ১৫টি জেলার মধ্যে পাবনা জেলায় বাবলু প্রামানিকের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা) দল ও ইউসুফ ফকিরের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলা সর্বহারা দল মিলিয়ে ১৬০ জন ২৩টি অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করবেন। এছাড়া নাটোরের ৩৯, সিরাজগঞ্জের ৮০, রাজশাহীর ৭৪, নওগাঁর ৭৭, খুলনার ৩৫, জয়পুরহাটের ৯২,ফরিদপুরের ২৬, রাজবাড়ীর ১৬, বগুড়ার ১৫ জন, টাঙ্গাইলের ৪, নড়াইলের ১, যশোরের ৩, সাতক্ষীরার ৫ ও রংপুরের ১জন আত্মসমপর্ণ করবেন।
আত্মসমপর্ণকারীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র জমা পড়বে ৫১টি। এর মধ্যে পাবনার ২৩টি, ফরিদপুরের ১৩টি, খুলনার ৭টি, জয়পুরহাটের ৮টি এবং রাজবাড়ীর ২টি অবৈধ অস্ত্র জমা পড়বে। অপর ১০টি জেলার আত্মসমপর্ণকারী কোনো অবৈধ অস্ত্র জমা দিচ্ছেন না। এ কারণে তাদের নিরস্ত্র চরমপন্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।