Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়ার জামিন বহাল

কুমিল্লায় হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩১ মার্চ এ হত্যা মামলায় খালেদাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান চেম্বার বিচারপতি। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ড. মো. বশির উল্লাহ। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আব্দুর রেজাক খান, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল ও ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ।
পরে খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এখন নতুন করে কোনো মামলা না হলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দুটিতে তিনি জামিন পেলেই মুক্তিতে আর বাধা থাকবে না। তবে সরকারের বাধার কারণে আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। এই মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মো. আলী আকবর খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর এই মামলায় জামিন চেয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোলবোমা হামলা হয়। এতে আটজন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ও ২৭ জন আহত হন। ঘটনার পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি ৫৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করে পুলিশ। দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত খালেদা জিয়াকে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ