পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদকে মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁওয়ে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। এর আগে আসরের পর প্রেসিডেন্ট ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় টেলি সামাদকে শ্রদ্ধা জানান- জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হাই তালুকদার, প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রিন্সিপাল মেজর মোহাম্মদ শরীফ উজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনিস উজ্জামান আনিস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মতিউল ইসলাম হিরু, সভ্যতার আলো পত্রিকার সম্পাদক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাসেল মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ভবতোষ চৌধুরী নূপুর প্রমুখ।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন আব্দুস সামাদ (টেলি সামাদ)। গত বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থা বেশী খারাপ হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গত শনিবার দুপুর দেড়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
গতকার রোববার বেলা ৩ টার দিকে টেলি সামাদের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স তার জন্মস্থান নয়াগাঁওয়ে পৌছে। শেষ বারের মত তাকে দেখতে ভীড় জমান শুভাকাক্সক্ষীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় তার প্রিয় কর্মস্থল এফডিসি প্রাঙ্গণে তার ৪র্থ নামাজে জানাজা হয়। পরে সেখান থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
গত শনিবার বাদ মাগরিব ঢাকার ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে এশার পর তার ঢাকার বাসভবন ইন্দিরা রোডের পশ্চিম রাজাবাজার জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মগবাজার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় তার ইন্দিরা রোডের বাসভবনে। সেখান থেকে গতকাল রোববার সকালে তার লাশ নেওয়া হয় এফডিসিতে।
মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ নয়াগাঁও এলাকার কৃতি সন্তান তিনি। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠা টেলি সামাদ বড় ভাই বিখ্যাত চারুশিল্পী আব্দুল হাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। সংগীতেও রয়েছে এই গুণী অভিনেতার পারদর্শিতা।
‘মনা পাগলা’ ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ দিয়ে তার চলচ্চিত্রে পা রাখা। চার দশকে ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। টেলি সামাদ সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ভাতিজা ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।