Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সাত সংস্থার তদারকি দল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

রমজান আসার আগেই বেড়ে যায় পণ্যের দাম। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কয়েকগুন বাড়ে। এবার রমজানকে কেন্দ্র করে যাকে কোনো পণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে না বাড়ে এবং বাজার স্থিতিশীল থাকে সেজন্য সরকারের সাতটি সংস্থা থেকে মাঠে নামছে তদারকি দল। এসব দল পাইকারি বাজার, মোকাম ও খুচরা বাজারে অভিযান চালাবে। যাতে করে রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সবাজার অস্থিতিশীল না হয়। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
যেসব সংস্থা থেকে বাজার দেখভালের জন্য তদারকি দল নামছে সেগুলো হলো- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদঢতর, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন বাজার মনিটরিং সেল, কৃষি বিপণন অধিদফতর, র‌্যার ও পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম রমজানে বাজার স্থিতিশীল থাকবে আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘রমজানে যে সকল পণ্যে চাহিদা বেড়ে যায়, সেসব পণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। কিছু কিছু পণ্য চাহিদার চেয়ে বেশি মজুদ আছে। ফলে দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। তারপরেও কেউ কারসাজি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বাজার তদারকি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টিসিবি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রমজানে পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সে জন্য কাজ করছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট আরও একাধিক সংস্থা থেকে বাজার মনিটরিং করা হবে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোরশেদ শাহরিয়ার জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাজারে বিশেষ তদারকি দল কাজ করছে। পুরো রমজানেই এই তদারকি চলবে। অসাধু উপায়ে কেউ দাম বাড়াতে চাইলে কঠোর শস্তি পেতে হবে।
মোরশেদ শাহরিয়ার আরও জানান, রমজানের জন্য একটি বিশেষ তদারকি দল খুচরা বাজার থেকে শুরু করে পাইকারি ও মোকাম পর্যায়ে অভিযান চালাচ্ছে। এ ছাড়া সপ্তাহে ৫ দিন নিয়মিত মনিটরিং করতে তিনটি দল বাজার তদারকি করছে। কৃষি বিপণন অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন কর্মকর্তারা বাজার তদারকি করছে। বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘রমজানে কয়েকটা কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। এর মধ্যে একটি হল-চাহিদার তুলনায় পণ্য সরবরাহ কম। তবে কৃত্রিমভাবে ঘাটতি দেখিয়ে অনেক সময় দাম বাড়ানো হয়। তাই সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন, যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা সংকট তৈরি করতে না পারে। আর এতগুলো সংস্থা বাজার তদারকির কাজ করবে। তাদের মধ্যেও সমন্বয় রাখতে হবে।’ আসন্ন রমজানে চিনির দাম বাড়বে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অতিরিক্ত সচিব মীর জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ মুহূর্তে উৎপাদিত ৭৯ হাজার ৮৫০ টন ও আমদানি পর্যায়ে ৮৪ হাজার ৬৭৫ টন চিনি আছে। মোট এক লাখ ৬৪ হাজার ৫২৫ টন। আসন্ন রমজানের জন্য এগুলো পর্যাপ্ত। চিনির দাম বাড়ার কোনা শঙ্কা নেই।’
পুরান ঢাকার পাইকারি বাজার মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাফেজ মো. এনায়েতুল্লাহ জানান, পর্যাপ্ত পণ্যই আছে। দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। নিয়ন্ত্রণটা ঠিক রাখতে হবে। ঢাকা মহানগর ফল আমদানি রফতানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশে খেজুরের মজুদ পর্যাপ্ত। ফলে কম দামে বিক্রি করতে পারব। দাম বৃদ্ধির কারণ নেই।’ তবে সরকারি ভাবে রমজানে দাম বাড়বে না বলে বলা হলেও বাজারের চিত্র অন্যরকম। এরইমধ্যে মাছ, গরু গোশত, পেঁয়াজসহ সকল প্রকার সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ