পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো, তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকার সবার জন্য উপযুক্ত স্যানিটেশন ও হাইজিন সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। আগামী ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে সব পৌরসভা শহর প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু করতে পারবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, আইটিএন-বুয়েট ও বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশন আয়োজিত বাংলাদেশে শহরব্যাপী সমন্বিত স্যানিটেশন (সিডব্লিউআইএস) এর উপর জাতীয় পর্যায়ের পরামর্শ ও পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা যেকোন দেশের সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়নের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। জাতিসংঘ সাধারন পরিষদ পানি ও স্যানিটেশন কে মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করেছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকারে স্যানিটেশনকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে যা দেশের স্যানিটেশন আন্দোলনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। সরকার কর্তৃক প্রণীত বিভিন্ন নীতিমালায় স্যানিটেশনের এই উচ্চ পর্যায়ের অঙ্গীকারসমূহ প্রতিফলিত হয়েছে। পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সেক্টরে বিদ্যমান জাতীয় নীতিমালা, কৌশলপত্র, এবং নির্দেশিকায় নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, আদিবাসী সম্প্রদায়, ক্ষতিগ্রস্থ এবং ছিন্নমূল ও ভাসমান দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সমধারায় আনা হয়েছে।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো, সাইফুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস.এম. গোলাম ফারুক, গেস্ট অব ওনার হিসাবে ছিলেন বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ড.রুশান রাজ শ্রেষ্ঠা। মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী স্যানিটেশনের সকল ক্ষেত্রকে সমন্বিতভাবে মোকাবেলার জন্যে সিডব্লিউআইএস এর ধারণা এখন সর্বত্র প্রয়োগ হচ্ছে। সিডব্লিউআইএস সবার জন্য পর্যাপ্ত, উপযুক্ত স্যানিটেশন এবং হাইজিন সেবা নিশ্চিত করার পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করে। সঠিক প্রযুক্তি সহকারে ব্যাপক পরিকল্পনা এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি উভয়ই এক্ষেত্রে একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের সুদৃঢ় পদক্ষেপ ও প্রতিশ্রুতি, আর্থিক বরাদ্দ এবং অন্যান্য সহায়তা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমুহের আর্থিক সহযোগিতাসহ দেশের জনগনের পাশে দাড়াচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা যেকোন দেশের সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়নের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। জাতিসংঘ সাধারন পরিষদ পানি ও স্যানিটেশন কে মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করেছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকারে স্যানিটেশনকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে, যা দেশের স্যানিটেশন আন্দোলনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক এবং বিশ্ব ব্যাংক এর অর্থায়ন ও সহযোগিতায় দেশের ১শ’ টিরও অধিক পৌরসভায় পয়ঃবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক এবং আইনি কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে। সাধারণ জনগণ বুঝতে পেরেছে যে উন্মুক্ত জায়গায় মলত্যাগ এখন এখন সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ জন্যই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ সবচেয়ে অল্প সময়ে মধ্যে এসডিজি ৬ দশমিক ২ ভাগ অর্জন করেছে এবং যা এখন দৃশ্যমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।