পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতায় নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ইকরামুল হক টিটু। দলমত নির্বিশেষে সবারই তিনি আপনজন। যেন এক প্রাণভোমরা। প্রকৃত অর্থেই জনমানসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন জনসেবক হিসেবে। ফলে কোন মনোনয়ন প্রত্যাশীকেই বিবেচনায় নেননি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রতিই পূর্ণ আস্থা রেখেছেন ইকরামুল হক টিটু’র প্রতি।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে টিটু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় অন্য রকম এক আনন্দ আবহ তৈরি হয়েছে ময়মনসিংহে। শুধু দলীয় নেতা-কর্মীই নন, পরিবারের বধূ থেকে শুরু করে জুয়োন-বুড়োরাও সামিল হয়েছেন আনন্দ মিছিলে। বাড়ি বাড়ি হচ্ছে মিষ্টি বিতরণ। এ যেন এক ‘নগর পিতা’র জন্য সাধারণ মানুষের অবারিত আনন্দের ফল্গুধারার উজ্জ্বল বহিঃপ্রকাশ।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার দিকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. ইকরামুল হক টিটুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয় ময়মনসিংহ। তার আগমনকে ঘিরে কয়েক হাজার মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার নিয়ে তাকে শহরতলী চুরখাই এলাকা থেকে স্বাগত জানায় দলীয় নেতা-কর্মীরা।
স্বতঃস্ফূর্ত নেতা-কর্মীদের এমন আবেগ-উচ্ছ্বাসে আপ্লুত মেয়র ইকরামুল হক টিটুও। তিনি বলেছেন, মমতাময়ী নেত্রী আমাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি যদি নির্বাচিত হই অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। আমি ময়মনসিংহবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সংসদের সভায় ইকরামুল হক টিটুকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
গত ২৫ মার্চ সিটি নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল মোতাবেক, ভোটগ্রহণের তারিখ ৫ মে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৮ এপ্রিল, বাছাই ১০ এপ্রিল এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ এপ্রিল। মোট ১৩০টি কেন্দ্রেই ভোট হবে ইভিএমে।
এই বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তই নেন। আবারো তিনি এটা প্রমাণ করেছেন। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। ময়মনসিংহবাসী তার এই সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত সাড়ে ৯ বছরে ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র হিসেবে ইকরামুল হক টিটু কাঙ্খিত নাগরিক সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি ‘সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন ময়মনসিংহ’ ভিশন নিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতির সোপানে নিয়ে যান নগরীকে। পৌরসভার নাগরিকদের সঙ্গে স্থাপন করেন ‘ওয়ান টু ওয়ান’ রিলেশন’।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগের পাশাপাশি সাংগঠনিক ভিত্তিকেও মজবুত করতে নিরলস পরিশ্রম করেন। সৎ, যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের কারণে স্থানীয় ভোটারদেরও প্রকাশ্য সমর্থন রয়েছে তার প্রতি।
এছাড়া মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তার ব্যাপক জনসংযোগ, প্রতি বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে সংবর্ধনা, কনসার্ট এবং অমায়িক আচরণের মাধ্যমে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে একটি চমৎকার ইমেজ তৈরি করতে পেরেছেন।
দলীয় সূত্র মতে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্দেশে দলীয় জরিপ ও বিভিন্ন সংস্থার জরিপসহ সব দিক থেকেই অন্য প্রার্থীদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন ইকরামুল হক টিটু। মেয়র হিসেবে সফলতার সঙ্গে রেকর্ড সাড়ে ৯ বছরের ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করার পর তার কাজে মুগ্ধ হয়ে এবং পূর্ণ আস্থা রেখেই তার হাতেই প্রথম সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের চাবি তুলে দেওয়া হয়।
মূলত এটি ছিলো দলীয় মনোনয়নের প্রথম ইঙ্গিত। তবে নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে আওয়াজ তুললেও প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর পছন্দের তালিকায় অগ্রভাগেই ছিলেন মেয়র টিটু, এমন অভিমত দলীয় গুরুত্বপূর্ণ সূত্রের।
ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ শাহীনুর রহমান বলেন, ভবিষ্যতে ময়মনসিংহকে মডেল সিটি করপোরেশন হিসেবে রূপান্তর করতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর বিকল্প নেই। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের ফসল ঘরে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।