Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাধীনতার পর গণতন্ত্র হত্যা করে আ.লীগ

বগুড়ায় বরকত উল্লাহ বুলু

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। তার স্বাধীনতার ঘোষণাতেই একাত্তরে দিশেহারা ও দিকভ্রান্ত জাতি মুক্তির দিশা খুঁজে পেয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরে শাসক দল আওয়ামী লীগই গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। ’৭৫ এর পরে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াই মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পুণঃপ্রবর্তন করেছিলেন গণতন্ত্র।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার টিএমএসএস মহিলা মার্কেট অডিটোরিয়ামে জেলা বিএনপির এক প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেলেও সেসব দুদক ও সরকার দেখে না। অথচ ২ কোটি টাকা আত্মসাতের মিথ্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে আটক রেখে তিলে তিলে হত্যার যড়যন্ত্র চলছে।
তিনি গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে দ্রুততম সময়ে রাজপথে আন্দোলনে নামার জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত বগুড়ায় সংগঠনে কিছুটা হলেও ফাটল ধরেছে যা কাঙ্খিত নয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত ও কেন্দ্রীয় সদস্য ওবায়দুর রহমান চন্দন। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার পৌর মেয়র ও সাবেক জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান, সাবেক এমপি জিএম সিরাজ প্রমুখ ।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু অচিরেই বগুড়া বিএনপির কমিটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত করে বলেন, যারা বিগত ১০ বছর রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন নতুন কমিটিতে তারাই থাকবেন। কমিটি গঠনের লক্ষ্যে শিগগিরই কাউন্সিল হবে। সভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান।
এদিকে সভার শুরুতে সভাস্থলে জেলা যুব ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রবেশ ও আন্দোলনের দাবিতে স্লোগান দেওয়াকে ঘিরে উত্তেজনা ও বাকবিতন্ডা হয়। এসময় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ধাক্কাধাক্কির মুখে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা বুঝিয়ে যারা জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও উপজেলা ও পৌর কমিটির বৈধ প্রতিনিধি তারা ছাড়া অন্য সবাইকে সভাস্থল থেকে বের করে দেন ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ