দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া, কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে গতকাল (সোমবার) বৃষ্টিপাত-বজ্রবৃষ্টিতে শীতল ও সিক্ত হয়েছে সারাদেশ। চৈত্রের খরতাপ ও রোদের তেজ কিছুটা কমেছে। আজও (মঙ্গলবার) দেশের অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়া, কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিমা লঘুচাপের সাথে পূবালী বায়ুর সংযোগের ফলে এই প্রত্যাশিত বর্ষণ হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের সর্বত্র ধুলোবালির যাতনা আপাতত কমেছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুমিল্লায় ৪৮ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ৩৮ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ২৬ মি.মি. বর্ষণ হয়েছে।
এছাড়া ময়মনসিংহে ১৭, সিলেটে ১৪, রাজশাহীতে ২৫, রংপুরে ৩৮, খুলনায় ১৪, বরিশালে ১১ মি.মি. বর্ষণ হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩৩.৫ এবং সর্বনিম্ন টাঙ্গাইলে ১৭.২ ডিগ্রি সে.। গতকাল প্রায় সবক’টি জেলায় কমবেশি বর্ষণ হয়েছে।
এদিকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এর পরের ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।