পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানুষের নিশ্চিন্তে মৃত্যুর সুযোগও নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অপঘাত, দুর্বিপাক, দূর্ঘটনা ও অস্বাভাবিক মৃত্যুরই এখন জয়জয়কার। চকবাজারের চুড়িহাট্টা, বনানীর এফআর টাওয়ার, গুলশানের কাঁচা বাজারে আগুনসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকান্ডে মানুষের প্রাণহানিতে চারিদিকে শুধু ট্র্যাজিডি’রই পুণরাবৃত্তি ঘটছে। গণবিচ্ছিন্ন জবাবদিহিহীন আওয়ামী সরকার দেশে সুশাসনের পরিবর্তে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত বলেই জনস্বার্থের বিষয়টি সবসময় তাচ্ছিল্য করছে। ফলে নানা দূর্ঘটনায় প্রায় প্রতিদিনই মানুষের অকাল মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারী আকাশ-বাতাস ভারী করে তুলছে। গতকাল (রোববার) বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র সভাপতি তাসভীর-উল-ইসলামকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হওয়ার জন্যই ‘উদোর পিন্ডি বুধো’র ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আর সেই অপচেষ্টার শিকার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র সভাপতি তাসভীর-উল-ইসলাম। এফআর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অন্যায়ভাবে তাকে জড়িয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে-এটি সম্পূর্ণরুপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি তাসভীর উল ইসলামকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সরকারের চরম ব্যর্থতায় জনমনে যে ধিক্কার উঠেছে সেটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই তাসভীর-উল-ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত: তাসভীর-উল-ইসলাম ঐ ভবনের মালিকও নন কিংবা ডেভেলপারও নন। তিনি ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বা বিল্ডার্স-এর কাছ থেকে ফ্লোর কিনেছেন মাত্র। সুতরাং তিনি কোনভাবেই দায়ী হতে পারেন না।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণরুপে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তাসভির-উল-ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে-শুধুমাত্র জনগণের নিকট বিএনপিকে দোষী করার জন্য। বহুতল ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি অনুসরণে সরকারের গাফিলতি এবং আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানের দৈন্য-দশায় দেশে একের পর এক আগুনে পুড়ে মানুষের মৃত্যুতে যে ট্র্যাজেডি’র সৃষ্টি হচ্ছে সেটির দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে সরকার নির্দোষ সাজতে চাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে সরকারের আমলে রডের বদলে বাঁশ দিয়ে নির্মান কাজ হয়, ভবন নির্মানের পর হেলে যায়, ভবনের টেকনিক্যাল উপযোগিতা যাচাই না করে মানুষের বসবাস ও বাণিজ্যিক কর্মকান্ড পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয় এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও ফায়ার সেফটি কোড অনুসরণ করা হয় না সেই সরকারের আমলে মানুষের জীবন যে ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।