পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে গ্রিন লাইন বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে আগামী বুধবাররের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসনের নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ তা খারিজ করে আদেশ দেন। ফলে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল থাকলো। এখন পা হারানো রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে ওই পরিবহন কর্তৃপক্ষকে। আদালতে গ্রিন লাইনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আবদুল বাসেত মজুমদার ও মো. ওজিউল্লাহ। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড খবির উদ্দিন ভূঁইয়া।
রিটকারী আইনজীবী উম্মে কুলসুম বলেন, আদালত বুধবারের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা রাসেলকে বুঝিয়ে দিতে গ্রিনলাইন পরিবহনকে নির্দেশ দিয়েছেন। টাকা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। গত বছর ২৮ এপ্রিল যাত্রাবাড়ীতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাস চাপায় পা হারান প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকার। পরে গত বছরের ১৪ মে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন উম্মে কুলসুম। গত ৬ মার্চ রিটের প্রাথমিক শুনানিতে রাসেল আদালতকে বলেছিলেন, পা হারানোর পর এখন পর্যন্ত গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা করেনি। এমনকি কোনো খোঁজখবর বা চিকিৎসার ব্যয়ও বহন করেনি। এরপর গত ১২ মার্চ গ্রিন লাইন পরিবহনের ব্যাখ্যা শুনে হাইকোর্টে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন। সে আদেশ স্থগিত চেয়ে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে চেম্বার আদালত গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠায়। আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে তা খারিজ করে দেন আপিল বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাস চালক প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেন। এতে রাসেলের দেহ থেকে বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর অস্ত্রোপচার করে তার বাম পা কেটে ফেলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।