পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর জামাতাকে তুলে নিয়ে মারধর, ছিনতাই ও মুক্তিপন দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের ৫ কর্মীর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ৩ জনকে আটক করা গেলেও বাকি দুজন পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ ৪৪ ব্যাচের সঞ্জয় ঘোষ (আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল), সরকার ও রাজনীতি বিভাগ ৪৫ ব্যাচের মো. আল রাজী (মীর মশাররফ হোসেন হল) এবং একই ব্যাচের ভ‚তাত্তি¡ক বিজ্ঞান বিভাগের মো. রায়হান পাটোয়ারি (শহীদ রফিক-জব্বার হল), কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহ মোস্তাক সৈকত (বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হল) ও দর্শন বিভাগের মোকাররম শিবলু (মীর মশাররফ হোসেন হল)। এদের মধ্যে রায়হান পাটোয়ারি এর আগেও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত ও অবাঞ্ছিত হয়েছেন। কিন্তু তারপরও সে এখন ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় হলে থাকনে বলে হল সূত্রে জানা গেছে। এদিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বহিস্কৃত হওয়ার পর শাখা ছাত্রলীগ তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি। অন্যদিকে আজ আটক সঞ্জয় ঘোষ ও আল রাজী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার অনুসারী। আর পালিয়ে যাওয়া শিবলু শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চলের আত্মীয়। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমি ফার্মগেটে প্রাইভেট কার চালাই। ভোরে ফার্মগেটে যাওয়ার জন্য শ্বশুর বাড়ি থেকে রওনা দেই। বিশমাইলে রাস্তার ঢাল বেয়ে নামার সময় আমাকে আটক করে। তারা আমাকে মাদক ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা করে এবং এটা আমাকে স্বীকার করতে বলে। এরপর বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে নিয়ে চেইন দিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মারধর করে। তারা আমার কাছে থাকা টাকা, ফোন, মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে নেয়।’ এ বিষয়ে সঞ্জয় ঘোষ বলেন, আমি জুনিয়রদের ফোন পেয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে যাই। আমি বিষয়টি জানতাম না। গিয়ে দেখি, ওরা তাকে মারধর করেছে। তবে ছিনতাই ও মুক্তিপন দাবি করা হয়নি। অপর দুইজন মো. আল রাজী ও মো. রায়হান পাটোয়ারি মারধরের কথা স্বীকার করলেও ছিনতাই ও মুক্তিপন দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমরা অভিযুক্তদের লিখিত ভাষ্য নিয়েছি। অভিযোগকারীদের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, কারো ব্যক্তিগত কাজের দায়ভার সংগঠন নিবে না। তবে যেহেতু তারা আমাদের সংগঠনের কর্মী তাই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, ‘আত্মীয় বিষয়না, অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।