পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুসলমানদের জন্য মুসলমান রচিত পূর্ণাঙ্গ সৌর ক্যালেন্ডারের নাম ‘আত তাকউইমুশ শামসী’। এর আগে প্রবর্তিত সকল ক্যালেন্ডার ছিল লুনি-সোলার সমন্বিত ক্যালেন্ডার। মুসলিম প্রবর্তিত সর্বপ্রথম ও একমাত্র সোলার বা সৌর ক্যালেন্ডারের শামসী সন গণনা শুরু হয়েছে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে বছর এবং যে মাসে আল্লাহ পাকের দীদারে মিলিত হন সেই বছর ও সেই মাসের পহেলা তারিখ অর্থাৎ পহেলা রবিউল আউয়াল থেকে। তাই ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ অনুসরণ করা সকল মুসলমানদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারসহ মুসলিম বিশ্বের উচিত সারা মুসলিম বিশ্বে এই ক্যালেন্ডারের প্রচলন করা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সর্বপ্রথম ইসলামী সৌর ক্যালেন্ডার ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিশিষ্ট চাঁদ ও মহাকাশ গবেষক এবিএম রুহুল হাসান। এছাড়া ইসলামের আলোকে সৌর বা শামসী সনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন, দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল-বাইয়্যিনাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মুফতিয়ে আযম আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহপাক পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ করেন ‘তিনি সূর্যকে করেছেন তেজোদীপ্ত, আর চাঁদকে করেছেন আলোকময় আর তার (হ্রাস বৃদ্ধির) মানযিলসমূহ সঠিকভাবে নির্ধারণ করেছেন, যাতে তোমরা বৎসর গুনে (সময়ের) হিসাব রাখতে পার। আল্লাহ এটা অনর্থক সৃষ্টি করেননি, তিনি নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করেন জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য। (সূরা ইউসুস শরীফ, আয়াত শরীফ ৫)। এ থেকে বোঝা যায়, মুসলমানদের চাঁদের ক্যালেন্ডারের (হিজরী ক্যালেন্ডার) পাশাপাশি প্রয়োজন একটি সূর্যভিত্তিক রচিত সৌরসাল। বর্তমানে ইরান ও আফগানিস্তানে লুনি-সোলার (চাঁদ ও সূর্যের সমন্বয়ে) ক্যালেন্ডার ব্যবহৃত হলেও মুসলমানদের রচিত পূর্ণাঙ্গ সৌরসাল কোনো মুসলমান দেশেই প্রচলিত নেই। তাই ঈসায়ী ক্যালেন্ডার যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে নতুন সৌরসাল ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ বাংলাদেশসহ সারা মুসলিম বিশ্বে প্রচলন খুবই জরুরী। অর্থাৎ ১১ হিজরী সনের পবিত্র রবীউল আউয়াল মাসের পহেলা তারিখ থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।