Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কর্মকৌশল নির্ধারণ শিল্প খাতের অবদান হবে ৪০ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

 সরকারের চলতি মেয়াদে জাতীয় আয়ে শিল্প খাতের অবদান ৪০ শতাংশ এবং এ খাতে শ্রমশক্তি ২৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে দ্রæত শিল্পায়নের মাধ্যমে আমদানি পণ্যের নির্ভরশীলতা হ্রাস ও রফতানি বাড়াতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। নারীদের শিল্পায়নের ম‚ল ধারায় নিয়ে আসা, পুঁজিঘন শিল্প স্থাপনের পরিবর্তে শ্রমঘন শিল্প স্থাপন, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সম্প্রসারণ, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বেসরকারি খাতের বিকাশে নীতিসহায়তা দেওয়া হবে।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি এসব কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনার মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে লোকসানে থাকা সরকারি কারখানা লাভজনক করতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়িয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ নিশ্চিত করা, চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখা, শিল্প পার্কের নির্মাণকাজ শেষ করতে কাজ করা হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্বিপক্ষীয় পুঁজি বিনিয়োগ চুক্তি, বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক চুক্তি, সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করে তা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হবে। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, চলতি মেয়াদে একটি ভিশন নির্ধারণ করে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। সরকারি কারখানা লাভজনক করতে এবং বন্ধ কারখানা চালুতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সারের সরবরাহ নিশ্চিত করা, গুণগতমানের লবণ উৎপাদন, চিনির বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকারি চিনিকলের উৎপাদনের স্বাভাবিক ধারা বজায় রাখাও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অন্যতম দায়িত্ব। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহী করতে শিল্প মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রথমবার ৩১ মার্চ থেকে সাত দিন অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় শিল্প মেলা। দেশি উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারে এ মেলা আয়োজন করা হবে। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে সরকারের এবারের মেয়াদে প্রথমবারের মতো দেশি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল জাতীয় শিল্প মেলা আয়োজন করা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘসূত্রতা থেকে বের হয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সময়ে কর্মকৌশল বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। শিল্প খাতে দেশ স্বনির্ভর হবে।
বিসিকের অধীনে ৭৬টি শিল্পনগরীতে শিল্প গড়ে তুলতে প্রায় ১০ হাজার শিল্প প্লট বেসরকারি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব প্লটের প্রায় অর্ধেকেই এখনো শিল্প চালু নেই। চলতি মেয়াদে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে অব্যবহৃত প্লটের বরাদ্দ বাতিল করে নতুনভাবে দেওয়া হবে। বন্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠান চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স, খুলনা নিউজ প্রিন্ট মিলস, খুলনা হার্ডবোর্ড মিলস, ঢাকা লেদার কোম্পানি, বাংলাদেশ ইনসুরেটর স্যারিটারি ওয়্যার ফ্যাক্টরি, নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস (এনবিপিএমএল) চালুতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রুগ্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে গড়ে তুলতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকারি কারখানার মধ্যে অব্যবহৃত জমিতে বিনিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
কর্মপরিকল্পনার মধ্যে বিসিআইসির সার কারখানাগুলোর ব্যয় কমাতে পুরনো যন্ত্রপাতির পরিবর্তে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সার সংরক্ষণে প্রয়োজনীয়সংখ্যক বাফার গুদাম নির্মাণ করা হবে। চলতি মেয়াদে পরিবেশবান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প জোন গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সরকারি চিনিকল আধুনিকীকরণ, বিসিকের শিল্পনগরীর অবকাঠামো উন্নয়ন, বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী, বিসিক প্লাস্টিক এস্টেট নির্মাণ, রাজশাহী ও ধামরাই শিল্পনগরী সম্প্রসারণসহ বর্তমান চলমান ৪২টি প্রকল্প দ্রæত বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হবে।



 

Show all comments
  • ash ৩০ মার্চ, ২০১৯, ৯:১৬ এএম says : 0
    SHORKARI LOKSHANI FECTORY GULO KE BANGLADESH ARMYR TOTTABODHANE DEWA WCHITH ! ( NA HOLE OI SHOB CHORER DOL SHUDHU KHABLE KHABLE E KHABE, LAVER MUKH R DEKHA HOBE NA , PORTI BOSOR KUTHI KUTHI TAKA VORTUKIE DITE HOBE ) MOT KOTHA BANGLADESH ARMY KE ROAD, NODI KHONON, NODIR PAR BADHANO, BRIDGE, RAIL WAY KARKHANA DEW A WCHITH !! NA HOLE DESH AI SHOB KHETRE GOCHA DITE E THAKBE, KAJER KAJ KISU E HOBE NA
    Total Reply(0) Reply
  • Nereida ২ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৫২ এএম says : 0
    It is perfect time to make some plans for the longer term and it is time to be happy.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ