পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘স্বপ্না আমি বেঁচে আছি। ক্রেন দিয়া নেমে এসেছি। তুমি এইদিকে আসো। বনানীর আগুন লাগা একুশতলা এফ আর টাওয়ার ভবনের ১৩ তলা থেকে বেড়িয়ে আসার পর ফুটপাথে বসে মোবাইল ফোনে এসব কথা বলছিলেন আরিফ নামে এক ব্যক্তি। তিনি ভবনটির ১৩ তলায় ডার্ড গ্রæপের ম্যানেজার অডিট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার সময় আমাদের অফিসে ৭-৮ জন ছিলাম। আমরা পাঁচবার সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করি। কিন্তু ধোঁয়া আর আগুনের তাপের কারণে নামা যাচ্ছিল না। চারদিকে অন্ধকার ছিল। আমরা আবার দৌঁড়ে অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়ি।’ আরিফ বলেন, ‘বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। অফিসের গামছা আর তোয়ালে ভিজিয়ে মুখের ওপর ধরে রেখেছি সবাই। আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো বাঁচতাম না।’
আরিফ বলেন, ‘একপর্যায়ে গাস ভেঙে হাতে ইশারা করতে থাকলে ফায়ার সার্ভিসের ক্রেন জানালার কাছে যায়। তারপর ক্রেন দিয়ে প্রথমে আমি আর ইকবাল নামে একজন নেমে আসি। অন্যরা পরে নামতে পেরেছে কিনা তা বলতে পারছি না।’
গতকাল অগ্নিকাÐের পর বনানীর স্টার কাবারের পাশে ফুটপাথের পাশে বসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলছিলেন আরিফ। ঘটনার একটু পর সেখানে এসে উপস্থিতহ হন আরিফের স্ত্রী স্বপ্না। তারা দু’জন একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকেন। সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরিবার ও সহকর্মীরা পরে তাদেরকে নিরাপদে নিয়ে চলে যান।
বাশার নামে আরেক ব্যক্তি জানান, তার অফিস ছিল ১৯ তলায়। তিনি ছাদে গিয়ে পাশের ভবনে চলে যান। পরে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসেন। গতকাল দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে বনানীর ২১ তলা এফ আর টাওয়ারের নয়তলায় ভয়াবহ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।