রাজধানীর বনানীতে বহুতল ভবন এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অনেক নিহত, শতাধিক আহত ও ভবনের ভেতর আটকা মানুষের খবর গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। যেসব আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তারা স¤প্রতি পুরান ঢাকার চকবাজার অগ্নিকান্ডের কথা উল্লেখ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রতিবেদন করেছে, ‘বাংলাদেশে আগুন : ঢাকার বনানীর বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন’ শিরোনামে। গত মাসে রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৭৮ জন নিহত হওয়ার কথাও উল্লেখ করেছে তারা। মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসও আগ্নিকান্ডের খবর জানিয়েছে।
আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের শিরোনামে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন, ভেতরে আটকা অনেক মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বহুতল ভবনে অগ্নিকান্ড, আগুন নেভাতে মরিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও ডেইলি স্টার তাদের অনলাইনে ঢাকার বনানীর বহুতল ভবনে আগুনের খবর জানিয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, ‘ঢাকার বহুতল ভবনে আগুন, জীবন বাঁচাতে লাফ দিচ্ছে মানুষ’।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতেও রাজধানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়েছে। দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইনে ‘বাংলাদেশের রাজধানীতে ২২ তলা ভবনে আগুন, নিহত ৫’- শিরোনামে।
কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারসহ হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়া ট্যুডে, এনডিটিভিতেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে রাজধানীর বনানী এলাকায় অবস্থিত ২২ তলা ভবনে অগ্নিকান্ডের খবর নিয়ে। তাছাড়া রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটি, সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমস, তুরস্কের আনাদোলু, ইরানের পার্স ট্যুডে, জার্মানির ডয়েচেভেলেও ঢাকার বনানীতে বহুতল ভবনের অগ্নিকান্ডের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বনানীর আগুনের সঙ্গে গত মাসে চকবাজার অগ্নিকান্ডে ৭৮ জন নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টানা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ১৭ নম্বর রোডের ২২তলা ভবনে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করছে।
বনানীর বহুতল সেই এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত এবং শতাধিক আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে একজন বিদেশি। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে একজন শ্রীলঙ্কার নাগরিকও রয়েছেন।