পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় পাশের ভবনের সিসিটিভিতে ধারণকৃত ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ফুটেজ সাংবাদিকদের দেয়ায় ‘বড় ক্ষতি করার হুমকি’ দিয়েছেন ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক মো. হাসান। এ ঘটনায় ২৫ মার্চ সোমবার চকবাজার থানায় একটি জিডি করেন হুমকি পাওয়া মোহাম্মদ আজম। জিডি নম্বর ১১৬৬।
অন্যদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তে কোন অগ্রগতি নেই। মামলায় হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের দু’জন মালিককে অভিযুক্ত করা হলেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার কোন উদ্যোগ নেই তদন্তের সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের।
আজম বলেন, গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক হাসান আমার মোবাইলে কল করে জিজ্ঞেস করেন আগুন লাগার ভিডিও কেন সাংবাদিকদের দিয়েছি। ওই ভিডিও সরবরাহের কারণেই প্রমাণিত হয়েছে যে ওয়াহেদ ম্যানসনের দ্বিতীয় তলা থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন-কাজটা আমি ঠিক করিনি এবং ভবিষ্যতে আমি এর ফল পাবো। ওই হুমকির পর নিজের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৫ মার্চ আমি চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ১১৬৬) করি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তবে আমি এসব হুমকিতে ভয় পাই না।
জিডিতে আজম উল্লেখ করেছেন, ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় নন্দ কুমার দত্ত রোডের ৬৪ নম্বর বাসার মৃত ওয়াহেদের ছেলে মো. হাসান তার মোবাইল নম্বর থেকে ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি (আজম) বাসায় থাকাকালীন ফোন করে। ফোনে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সে আমার বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে বারবার বলতে থাকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের ডিসি ইব্রাহীম খান বলেন, জিডির বিষয়ে যা যা ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন সেসবই আমরা করবো। প্রয়োজনে যিনি জিডি করেছেন তার নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হবে।
চকবাজার থানার ওসি শামীমুর রশিদ তালুকদার বলেন, এ সংক্রান্ত জিডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্তের জন্য চকবাজার থানার এসআই আবদুল মান্নানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগের মামলা তদন্ত হচ্ছে। মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ভুক্তভোগী আজম আলী মিয়া চুড়িহাট্টার ৬৫/৬৬ নম্বর ভবনের মালিক। তিনি তার ভবনের নিচতলায় রাজমহল হোটেলের এক কোণায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন। অগ্নিকান্ডের পরে সেই ক্যামেরার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেছিলেন। প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ ঘটে অগ্নিকান্ডের কথা বলা হলেও আজমের সরবরাহ করা ওই ফুটেজ থেকে স্পষ্ট হয় যে ওয়াহেদ ম্যানসনের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণের পরই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে আগুনের ঘটনায় বিভিন্ন সংস্থার গঠিত তদন্ত কমিটিও এ ভিডিও গুরুত্ব সহকারে নেয় এবং পরে অগ্নিকান্ডে ওয়াহেদ ম্যানসনের কেমিক্যাল গোডাউনকে দায়ী করে প্রতিবেদন দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর হাজি ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট প্রচেষ্টায় ১৫ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে ৬৬ জন এবং পরে আহত ও দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন চারজন মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।