পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ চলছিলো তাই গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না, এলাকাবাসী পুলিশকে এমন জানাতেই ক্ষিপ্ত কোমরে থাকা পিস্তল বের করে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়েন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম। তার সাথে থাকা এক কনস্টেবল ছোড়েন আরও এক রাউন্ড গুলি! গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের চর নরসিংপুর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। তবে, পুলিশের দাবি সন্ত্রাসীরা বিনা উস্কানিতে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি ছুড়েছেন।
এ ঘটনায় জান্নাত নামে এক গর্ভবতী নারী ও পুলিশসহ চারজন আহত হয়েছে। অন্যান্যরা হলেন, জান্নাতের স্বামী সোহেল, শিক্ষার্থী জিসান এবং বৃদ্ধ আলাউদ্দিন পাঠান। তারা চর নরসিংপুরের বাসিন্দা। এছাড়া এক এসআইসহ দুই কনস্টেবল আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে সোহেল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে ওই এলাকার মৃত. আলী হোসেনের ছেলে। গোলাগুলির খবর শুনতেই এলাকায় ছুটে আসেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল ও প্যানেল চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী। তারা স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, যা ঘটেছে তা পুলিশ অতিরঞ্জিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তখন বিকেল চারটা। ফতুল্লা থানার এসআই রক্তিম একটি সিএনজিযোগে তিনজন কনস্টেবল নিয়ে চর নরসিংপুর আসেন। কিন্তু ওই রাস্তায় আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ চলছিলো। ফলে রাস্তার মোড়ে বাঁশ দিয়ে আটকানো ছিলো। রাস্তার মোড়ের বাঁশ সরিয়ে যেতে চায় পুলিশবহনকারী সিএনজিটি। তখন তাকে স্থানীয়রা ওদিকে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে জানান। কিন্তু তিনি কোনো নিষেধ শুনবেন না। ওদিকে যাবেনই। এ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন রক্তিম। কম যায়নি এলাকাবাসীও। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার আরও লোকজন এসে জড়ো হন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
এমন সময় এসআই রক্তিম উত্তেজিত মানুষষজনকে ছত্রভঙ্গ করতে কোমর থেকে পিস্তল বের করে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন এবং কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম তার শর্টগান থেকে এক রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটকের চেষ্টা চালালে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। তবে এসআই রক্তিম ঘটনাটি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বলেন, জুয়েল নামে এক যুবককে সরে দাঁড়াতে বললে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এতে আমি তাকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ওই যুবক আমার না বুঝে ফোন করে লোকজন এনে আমাদের উপর ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে।’ তিনি বলেন, এসময় আত্মরক্ষার্থে হামলাকারীদের ধাক্কা দিয়ে দূরে গিয়ে আমার পিস্তল থেকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ি।
এ ব্যাপারে জানতে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের বলেন, যারা সামান্য বিষয় নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে তারা সাধারণ নয়। এবিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।