পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সূর্য সন্তানদের প্রতি সম্মান জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে স্বাধীনতার ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। গতকাল প্রত্যুষে রাজধানীতে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারা চলে যাবার পর স্মৃতিসৌধে লাখো জনতার ঢল নামে। সাধারণ মানুষের হাতে হাতে দেখা যায় লাল-সবুজ পতাকা। কারো কারো পোষাকেও লাল-সবুজে মাখামাখি। অবনত চিত্তে স্মরণ করা হয় জাতির সূর্য সন্তানদের। পাশাপাশি স্বাধীনতার আনন্দে মেতে উঠে দেশবাসী। দিনটি সরকারি ছুটি হওয়ায় অনেকেই বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে উপভোগ করেছেন। আবার কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে বাসা-বাড়িতেই সময় কাটিয়েছেন।
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনেও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোকচিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সড়কে অলঙ্করণ, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে উৎসবমুখর পরিবেশে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা ও নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গতকাল ভোর ৬টার দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তারা কিছু সময় নীরবে দাড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে বিউগলে বাজানো হয় করুন সুর। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সু-সজ্জিত একটি চৌকষ দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, তিন বাহনীর প্রধানগণ, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পরে দলের সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে আবারও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধারা, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী কূটনীতিকগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ জনগণ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম পৃথক পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পরপরই সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক। পরে বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ বীর শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক খুলে দেওয়ার সাথে সাথে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। এসময় ঐক্যফ্রন্ট বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা জাতীয় স্মৃতিসৌধর মূল বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
জাসদ, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, গণফোরাম, জাতীয় পার্টি, ন্যাপ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, যুব ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, কৃষক লীগ, কৃষক দল, কৃষক সমিতি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর বিভিন্ন হল সমূহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমুহ, জাতীয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর বিভিন্ন হল সমূহ, গণবিশ্ববিদ্যালয়, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলা একাডেমি, কৃষিবিদ ইনিষ্টটিউট বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশন (্ক্র্যাব), সাভার প্রেসক্লাব, আশুলিয়া প্রেসক্লাব, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, বঙ্গবন্ধু সংসদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৈদ্য খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, মহিলা পরিষদ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ সরকারী-সরকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বীর শহীদদের প্রতি।
একই সাথে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সংগঠন ছাড়াও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ড, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনষ্টিটিউট বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে সকাল ৭টায় ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসাবে দলের নেতাদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এর পর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষও বঙ্গবন্ধুর প্রতকৃতিতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমাছুন, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, এনামুল হক শামীম ও মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভোর ৬টার পর থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধু ভবনের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের সড়কে জমায়েত হতে থাকে।
বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হাজারো জনতার ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। ‘স্বাধীনতার অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান’ ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’ শ্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, তাঁতী লীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মহিলা শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, মৎসজীবী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, ওলামা লীগ, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু আইন পরিষদসহ বিভিন্ন দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণী- পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে শিশু-কিশোর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সকাল ৮টায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে পরিবেশনার মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা তুলে ধরেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত তাদের নানান শারীরিক কসরতে মুগ্ধ হন দেশবাসী। বিকাল তিনটায় রাজধানীর হাতিরঝিলে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়েছে।
বিকালে বঙ্গভবনে বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশেদা খানম। এতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে গেলে লাল-সবুজ রঙের বেলুন ওড়ানো হয়। সেখানে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিককর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ আমন্ত্রিত বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর মিলন মেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে শিশুরা দেশের গান উপস্থাপন করে। এসময় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত অভ্যাগতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে স্বাধীনতা দিবসের কেক কাটেন।
এ ছাড়া সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছরের মতো এবারও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মোহাম্মদপুরে শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন। এদিকে বিকেলে গণভবনে একটি স্মারক ডাকটিকিট এবং ডাক অধিদপ্তরের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবসের দিনে প্রখর রোদও দমিয়ে রাখতে পারেনি বাঙালিদের। তীব্র গরমের মধ্যেই শাহবাগ কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সামনে একদল সংগীত শিল্পীকে ট্রাকে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গান গাইতে দেখা যায়। ঢোল, তবলা, বাঁশি, হারমোনিয়ামসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পীরা একের পর এক দেশাত্মবোধক গান গেয়েই চলছেন। সেই গান শুনতে স্থানটিতে দর্শক-শ্রোতাদের ভিড় দেখা গেছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রথম বুলেট ছুঁড়েছিলেন রাজারবাগের সাহসী পুলিশ সদস্যরা। যা ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ। এদিন প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন অনেক পুলিশ সদস্য। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহীদ পুলিশ সদস্যদের সম্মানে রাজারবাগে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্যালুট করেছেন ১৯৭১ এর বিএলএফ মুজিব বাহিনীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটি। কমিটির নির্বাহী চেয়ারমেন মোহাম্মদ আবদুল হাই মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপুর নেতৃত্বে হাজার খানেক মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় পতাকা ও সংসদের পতাকা নিয়ে মিছিল করে ধানমন্ডি সাভার মিছিল করে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায়। এ সময় আহমেদ উল্লাহ রতন কমান্ডার মোশারফ কমান্ডার বাশার ডেপুটি কমান্ডার তাজুল ইসলাম সাবেক জেলা কমান্ডার হারুনুর রসিদ জিল্লুর ও আফছারসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পু®পস্তবক অর্পণ এবং ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
জোহর নামাজের পর মসজিদুল জামিয়ায় বিশেষ মোনাজাত এবং বিশ^বিদ্যালয় এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে (টিএসসি) সংগীত বিভাগের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের গান, কবিতা, নৃত্য পরিবেশন এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে নাটক মঞ্চায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)-এর উদ্যোগে মহাখালীস্থ কোয়ার্টারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। বিএসটিআই’র কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের সন্তানরা চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। শিল্পসচিব এবং বিএসটিআই’র মহাপরিচালক বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।