Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মামলার নথি গায়েব হওয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

মামলার নথি (যা নম্বর ০৩৯৪০/২০১৭) হাইকোর্ট বিভাগের সেকশন থেকে অজ্ঞাত কারনে উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শংকর চন্দ্র দাস। এ মামলার নথি খোঁজে বের করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল বরাবর আবেদন করেন ওই আইনজীবী।
ওই আবেদন করার পর দীর্ঘ সাড়ে ৩ মাস সময় পার হলেও ওই মামলার নথি সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে মামলার আসামি রফিকুলের বিরুদ্ধে প্রসিডিং শুরু করেছেন নিম্ন আদালত। আজ মামলার নারাজি দরখাস্তের শুনানির জন্য রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মো. রফিকুল ইসলাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের একটি মোকদ্দমা নং ৫৫০/২০১৬ এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৬১/এ- ধারা অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ক্রিমিনাল মিসিলিনাস কেস নং ৩৯৪০/২০১৭ দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে ৪ মাসের জন্য রুলসহ স্টে আদেশ দেন। পরবর্তীতে আদেশ বর্ধিত করা হয় এবং সর্বশেষ বর্ধিত হওয়ার পর উক্ত ফাইলটি হাইকোর্ট বিভাগের সেকশন থেকে অজ্ঞাত কারনে উধাও হয়ে যায়।
রফিকুল ইসলামের নিয়োজিত অ্যাডভোকেট খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান করতে পারেন নাই। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর রফিকুল ইসলামের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনালের বরাবর আবেদন করলেও উক্ত ফাইল খোঁজে পাওয়া যায়নি। সিএমএম কোর্ট রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রসিডিং শুরু করেছেন, যার কারনে তিনি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ওই মামলার আইনজীবী শংকর চন্দ্র দাস বলেন, বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার ফাইল না পাওয়ার বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আদালত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর আবেদন করি, তারপরও এই মামলাটির ফাইল খোঁজে পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় মামলার স্টে বর্ধিত করা সম্ভব হয়নি। সিএমএম কোর্ট মামলাটি পুররায় চালু করে দেন। ২৮ মার্চ শুনানির জন্য রয়েছে। এতে আসামী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এবং ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে হাইকোর্টের নথি শাখার (ক্রিমিনাল মিস কেস) সংশ্লিস্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, প্রতিদিন এই শাখা থেকে হাজার হাজার ফাইল যায়। আর সেকশনে লোকবল ও জায়গার স্বল্পতা রয়েছে। এজন্য কখনো কখনো ফাইল হারানোর অভিযোগ করা হয়। তবে হাইকোর্ট সেকশন থেকে কোনো ফাইল হারায় না। অভিযোগ পেলে ফাইল উদ্ধার করা হয়। আর সংশ্লিষ্ট মামলার ফাইলটি অনুসন্ধানের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, মামলার ফাইল হারানোর কোনো অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেই। সংশ্লিষ্ট শাখার প্রধানকে ফাইল খোঁজে বের করার নির্দেশ দেই। অনেক সময় তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেয়া হয়। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে এতো নথি থাকে বিচার প্রার্থীদের সাথে সংশ্লিষ্টার নথি ডিসপ্লেস করে। তিনি বলেন, নথি হারানো যায় না, ডিসপ্লেস হয়। এছাড়া তিনি সংশ্লিষ্ট মামলাটির নথি উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষে নেয়ার আশ্বাস দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ