পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সুশাসনকে ব্যাংকের সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। এটি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে ব্যাংক এগিয়ে যাবে। একই সঙ্গে সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন শাখার কার্যক্রম তদারকির জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমি ব্যাংকারদের বলবো, আপনারা শাখা পর্যায়ে ব্যাংকের ভল্টে গিয়ে বছরে অন্তত একবার যাচাই করুন। অনেক নতুন কিছুই এতে বেরিয়ে আসবে। শুধু কাগজে কলমে হিসাব না কষে, সরেজমিনে গিয়ে যাচাই করুন।
গত সোমবার রাজধানীর আইডিবি ভবনে সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল মকবুল। এতে ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশের ব্যাংকার, মহাব্যবস্থাপক ও শাখা প্রধানরা অংশ নেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমি হিসাববিদ হওয়ায় সোনালী ব্যাংকের অডিট করেছিলাম। আমি ব্যাংকের ভল্টে গিয়েও হিসাব করেছি মজুতকৃত টাকার। মন্ত্রী বলেন, সোনালী ব্যাংক এগিয়ে যাচ্ছে, এটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সুশাসনকে ব্যাংকের সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। এটি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে ব্যাংক এগিয়ে যাবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক হলেও সামগ্রিক আর্থিক সূচকে এর অবস্থান দ্বিতীয়। হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনার পর থেকে ব্যাংকটি বড় ঋণ বিতরণে রক্ষণশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এসএমই, ট্রেজারি সার্ভিস ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত খাটানোর নীতিতে পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে সুফলও মিলেছে। চলতি বছরে পরিচালন মুনাফা হয়েছে দুই হাজার ৫৮ কোটি টাকা। ব্যাংকের এ অর্জন ধরে রেখে সোনালী ব্যাংককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা একে অপরের সততায় বিশ্বাস করি না। সৎ মানুষের বড়ই অভাব। তারপরও বলবো সৎ মানুষদের কারণেই দেশ ও পৃথিবী টিকে আছে। আমি বিশ্বাস করি আপনারা সৎভাবে কাজ করবেন।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা কি ঘুষ খান? কীভাবে খান? আমাকে তো কেউ ইনজেকশন পুশ করেও ঘুষ খাওয়াতে পারবে না। ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া সমান অপরাধ। পরে ‘আমরা আপনার সততায় বিশ্বাসী’ এ স্লোগানকে ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে কর্মকর্তাদের ঘুষ না নেওয়ার শপথ বাক্য পাঠ করান অর্থমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফজলে কবির বলেন, ‘ কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ বিতরণের মাধ্যমে শিল্পের বিকাশে ভূমিকা রাখছে সোনালী ব্যাংক। ২০১৮ সালে ব্যাংকটি আর্থিক বিভিন্ন সূচকে উন্নতি লাভ করেছে। কিন্তু এখনও ব্যাংকটির শেশ্রণকৃত ঋণ, ঘাটতি, অবলোপন ও পুনঃতফসিলকৃত ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। খেলাপি হওয়া ঋণের ৯০ শতাংশই মন্দ ঋণ। এদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।