পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বেলজিয়ামে সফররত বাণিজ্যসচিব মো. মফিজুল ইসলাম ইউরোপে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বাংলাদেশের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ রফতানি বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ পেপারলেস ট্রেড এগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এখন পেপারলেস ট্রেডে সক্ষমতা অর্জন করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপের বাজার বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের তৈরী পণ্য ইউরোপে বেশ জনপ্রিয়। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বাণিজ্যসচিব বলেন, প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাজার সম্প্রসারণের জন্য কমার্শিয়াল কান্সিলরদের দায়িত্ব অনেক।
বাণিজ্যসচিব মো. মফিজুল ইসলাম গতকাল রোববার বেলজিয়ামস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রাসেল্স এ ইউরোপে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কান্সিলরদের ইউরোপের বাজারে ‘ট্রেড স্ট্রাটেজি এন্ড এ্যাকশন প্ল্যান’ বাস্তবায়ন বিষয়ে এক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করে এ সব কথা বলেন।
বাণিজ্যসচিব বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধিতে কমার্শিয়াল কান্সিলরদের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ইউরোপের আমদানি কারকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের বিশ^মানের পণ্য সম্পর্কে ব্যাপক ধারনা দিতে হবে। ব্যবসা সহজীকরণে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ আমদানি কারকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ খুবই আন্তরিক, কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বিশ^ব্যাপী বাংলাদেশের রফতানি বাড়ছে। বাংলাদেশে পুরুষদের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তারাও এগিয়ে এসেছে। আগামীতে নারীদের বিশ^ বাণিজ্যে সফল ভাবে কাজ করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে এখন নারী ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। নারী ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা দিলে বাণিজ্যের পরিধি বাড়বে।
বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্রাচার্য্য বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় ইউরোপে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরগণসহ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।