পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল শুক্রবার টানা ৩য় দিনের মত রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক শিক্ষক কর্মচারী। তারা বলছেন, বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তাদের দাবি বরাবরই উপেক্ষিত থেকেছে। তাই এবার প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও সুনির্দিষ্ট ঘোষণার আগ পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বুধবার থেকে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনটার দিকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বরগুনার তালতলি উপজেলার শিক্ষক শৈলেন চন্দ্র মজুমদার (৫০) অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
শিক্ষকেরা বলছেন, সারাদেশে সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। সুনির্দিষ্ট ও যৌক্তিকভাবে লিখিত কোনো নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান দিন-রাত সমানতালে চলবে। এবার কোন আশ্বাস নয় বরং এমপিওভুক্তির লিখিত ও সুনিদিষ্ট ঘোষণা নিয়ে বাড়ী ফিরতে চান তারা। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায় বলেন, এর আগে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করলে আমাদের নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই এমপিওভুক্তির কথা বলতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। সাক্ষাতের পর তিনি যদি বাড়ি ফিরে যেতে বলেন, সে নির্দেশও আমরা মানব। তবে আমাদের বিশ্বাস তিনি আমাদের খালি হাতে ফেরাবেন না। সংগঠনটির সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, আমাদের দাবি হলো সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত করতে হবে। যদি এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যা হয় তাহলে তিন ধাপে এমপিওভুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কদম ফোয়ারা থেকে মূল গেট পর্যন্ত অবস্থান করতে দেখা যায় শিক্ষক-কর্মচারীদের। সড়কের ওপর পলিথিন ও কাগজ বিছিয়ে রোধের মধ্যেও অবস্থান থেকে সরে যাননি তারা। এসময় আন্দোলনকরীদের ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, শেখ হাসিনার বাংলায়, উন্নয়নের বাংলায়, শিক্ষক কেন রাস্তায়’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।