পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডে মানুষের জীবন ও জীবিকায় যেন ক্ষয়-ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটানোই সরকারের লক্ষ্য, যাতে তারা সবাই একটি সুন্দর জীবন পেতে পারে। মানুষের ক্ষতি করে যেন এই উন্নয়ন না হয়।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম প্রকল্পের উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের এসব পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অবশ্যই উন্নয়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করবো কিন্তু প্রকল্প নেওয়ার সময় এটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, জনগণের জন্যই তা করা হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায়, বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যেসব মানুষের জমি অধিগ্রহণ করতে হয়, যাদের জমি নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তারা কিছুই পাচ্ছে না। তারা যেন সময় মতো জমির যথাযথ মূল্য পায়, তাদের যেন ভোগান্তি না হয়। দরিদ্র জনগণের জীবন এবং জীবিকা কোনভাবেই থেমে না যায় এটা লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় কক্সবাজারে কিছুই ছিল না। পুরো কক্সবাজারে লবণ ও পান চাষ হতো। কক্সবাজারকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। কক্সবাজারের জনগণের মতামত নিয়েই এই উন্নয়ন কাজ চলছে।
মহেশখালী-মাতারবাড়িতে স্থাপিত প্রকল্পের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম হলে শুধু ওই অঞ্চলেরই নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালীর বড় অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। জাপানের সহায়তায় মাতারবাড়িতে ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প এ পরিকল্পনার অংশ। পাশপাশি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, সড়ক, রেল এবং এ সংক্রান্ত আরো বিভিন্ন প্রকল্পসহ মোট ৩৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জাপান, চীন, ভারত এবং কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যেই মাতারবাড়িতে তাদের বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে তা কেবল মাতারবাড়ি অঞ্চলের উন্নয়নই নয়, সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বিরাট ভূমিকা রাখবে। কক্সবাজারে ঠাঁই নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট জাপানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এমআইডিআই প্রকল্পের মূল নকশা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবগণ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ও দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১০ জনকে প্রধানমন্ত্রীর ২ কোটি ৭ লাখ টাকা অনুদান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল চিকিৎসা ও জীবনযাপনের ব্যয় নির্বাহের জন্য ১০ জনকে মোট ২ কোটি ৭ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে অনুদানকৃত চেকগুলো ওই ১০ জনের কাছে হস্তান্তর করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী এবং সেই সঙ্গে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত এক ব্যক্তি এসব চেক গ্রহণ করেছেন।
ইরি ও ব্রি’র মধ্যে সহযোগিতা জোরদার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ধানের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-র মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
ইরি’র মহাপরিচালক ড. ম্যাথেও মোরেল গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন আরো বাড়াতে ইরি এবং ব্রি’র মধ্যে তাদের সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইরি এবং ব্রি’র মধ্যে বর্তমানে বিরাজমান সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।