পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ব্রাশফায়ারে হামলাকারীদের এখনো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এখনো তদন্তাধীন আছে বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা তো ভোট দিতে যাচ্ছে না। উপস্থিতি খুবই কম, আপনাদের আহ্বানটা কি থাকবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটাররা আসবে কি আসবে না সেটা প্রার্থীদের দায়িত্ব। এবিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি একথা বলেন। এসময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ব্রাশফায়ারে নিহতদের প্রত্যেককে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা করে দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া তাদের পরিবারের কেউ যদি চাকরিযোগ্য থাকে এবং নির্বাচন কমিশনে যদি সুযোগ থাকে তাহলে তাদের চাকরি দেয়া হবে। সিইসি বলেন, পাহাড়ের উপর থেকে দৃস্কৃতিকারীদের অতর্কিত গুলবর্ষণে নির্বাচন কর্মকর্তা আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যসহ সাতজন নিহত হয় এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৃশংস ও বর্বর হামলায় নির্বাচন কমিশন মর্মাহত।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সাত জন ও চট্টগ্রামে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিইসি বলেন, এই ঘটনার সাথে সাথে কমিশন তাদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো চোরাগুপ্তা হামলা। এ জাতীয় ঘটনা ঘটবে এটা তো কেউ আশঙ্কা করে না। সতর্কতামূলক হিসেবে আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছি। যার ফলে সারাদিন নির্বাচনে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদিও তারা কোথাও কোথাও অপচেষ্টা চালিয়েছিল। সার্বক্ষণিক টহলদারির কারণে তারা নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। রাতের অন্ধকারে অতবড় পাহাড়ি অঞ্চলে কোথায় কীভাবে এ জাতীয় আক্রমণ হয় এটা বোঝা মুশকিল।
প্রাথমিকভাবে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। এখনো তদন্তাধীন আছে। এখনো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, এরকম হামলা স্থায়ী হয়না, এক মিনিট বা দুই মিনিট হামলা করে তারা চলে যায়। এক দেড় মিনিটের মধ্যে একটা বাহিনী প্রস্তুতি নিয়ে আবার কাউন্টার অ্যাটাক করা এটা সম্ভব নয়। হামলার পর বিজিবির যে গাড়ি ছিল তারা সেখানে গিয়ে উদ্ধার করা, আহতদের ওখান থেকে সরিয়ে নেওয়া, আমাদেরকে খবর দেওয়া, হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা। এসকল কাজ তারা করেছে। দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে তারা কেউ যে গাফিলতি করেছে তা নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।