পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোতে শেরিং। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন এই সফরে দুদেশের মধ্যে নৌ যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে চুক্তি ও সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যম কর্মীদের এই তথ্য জানান। উল্লেখ্য, লোতে শেরিং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এমবিবিএস পাস করে বাংলাদেশেই জেনারেল সার্জারি বিষয়ে এফসিপিএস করেন। তিনি বাংলাদেশে ১০ বছর কাটিয়েছেন। এর আগে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুদেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ের দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের ১৯ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। অন্যদিকে, বৈঠকে ভুটানের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনদিনের ঢাকা সফররত দেশটির পররাষ্ট্র সচিব সোনেম সং।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ভুটানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি খুব আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুদেশের দ্বিপক্ষীয় সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়। যার মধ্যে বিদ্যুৎ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, পর্যটন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু এবং দুদেশের মধ্যে মানুষে মানুষে সংযোগ উল্লেখযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বাইরে আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে ট্রানজিট ও কানেকটিভিটি, বিশেষ করে বিবিআইন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল এই চার দেশের মধ্যে স্থলপথে যোগাযোগ)-এর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটান এই তিন দেশের সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ভুটানের পররাষ্ট্র সচিব সোনেম সং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোতে শেরিং আগামী এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসবেন। এই সফরে দুদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে। ভুটানের পররাষ্ট্র সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী লোতে শেরিং-এর কাছে বাংলাদেশ তার নিজের দেশের মতোই। এই দেশের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত। কেননা, লোতে শেরিং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। লোতে শেরিং এমবিবিএস পাস করে বাংলাদেশেই জেনারেল সার্জারি বিষয়ে এফসিপিএস করেন। পরে দেশে ফিরে ২০১৩ সালে তিনি সিভিল সার্ভিস থেকে অব্যাহতি নিয়ে রাজনীতিতে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশে ১০ বছর কাটিয়েছেন। তাই এই দেশটি প্রধানমন্ত্রী লোতে শেরিংয়ের কাছে খুবই পরিচিত। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।