পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719404894](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ভারত চায় বাংলাদেশের তৈরী পণ্য ভারতে রফতানি হোক। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। বাণিজ্য সহজ করতে সমস্যাগুলো চিহ্যিত করে তা সমাধানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ভারত একটি বড় বাজার। ভারতে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক ভারতের বাজারে বিক্রয় করলে বাংলাদেশ লাভবান হবে। বাংলাদেশ সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্ডার হাট ভারত এবং বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে চারটি বর্ডার হাট চালু আছে, আরো ছয়টি বর্ডার হাট স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। উভয় দেশের মানুষের পণ্য ক্রয়ের লিমিট বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং এ বর্ডার হাটের পরিধিও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ভারতের অনেক বিনিয়োগ আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে মিরেরশরাই এবং মংলায় দুটি বড় আকারের ইকোনমিক জোনে ভারত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামীতে উভয় দেশের বাণিজ্যে দৃশ্যমান অনেক পরিবর্তন আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি সোমবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রিভা গাংগুলী দাস এর সাথে আলোচনার সময় এ সব কথা বলেন। পরে এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ভারতের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
ভারতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রিভা গাংগুলী দাস বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। ভারত চায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। এজন্য ভারত বাংলাদেশকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। বাংলাদেশের পণ্য ভারতের বাজারে বিক্রয় হচ্ছে। অনেক পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে ভারতে। উভয় দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে যে সকল সমস্যা বা জটিলতা রয়েছে, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এগুলো সমাধান করা হবে। বর্ডারহাটের প্রতি উভয় দেশের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বর্ডারহাটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে কাজ চলছে। বর্ডার হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের সমস্যাগুলো চিহ্যিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ব্যবসা সহজ করতে যা প্রয়োজন তাই করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে ৮৭৩ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৮ হাজার ৬১৯ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য। বাংলাদেশ রফতানি পণ্যের অনেক কাঁচামাল ভারত থেকে আমদানি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি করে। সেখানে বাংলাদেশের আমদানির চেয়ে রফতানি অনেক বেশি।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিবের দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব এস এম রেজোয়ান হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।