পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে হামলার ঘটনায় দুই বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. সামাদ আজাদ। তার স্ত্রীর নাম কিশোয়ারাসহ দুই সন্তানসহ নিউজিল্যান্ডে বাস করতেন তিনি।
কৃষিবিদ আবদুস সামাদের মৃত্যুর খবর স্বজনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ায় তার গ্রামের বাড়িতেও শোকের ছায়া বিরাজ করছে। পরিবারসহ স্থানীয়রা তাদের প্রিয় মানুষের মৃত্যুর খবরটি মেনে নিতে পারছেন না।
ড. মো. আবদুস সামাদ ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি তথ্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগাম অবসর গ্রহণ করার পর তিনি ৫ বছর আগে সপরিবারে নিউজিল্যান্ড চলে যান। সেখানে তিনি লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রী গ্রহণ করেন। ২ ছেলে ও স্ত্রী তার সাথেই থাকতেন। বড় ছেলে ঢাকায় থাকেন।
নিহত বাংলাদেশী ড. সামাদ আজাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মধুর হাইল্যা গ্রামে। নিহত ড. সামাদ আজাদ চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে সবার বড়। গ্রামের বাড়িতে এক ভাই থাকেন।
নিহত ড. সামাদ আজাদের ছোট ভাই শামছুজ্জামান জানান, ড. সামাদ আজাদ আমাদের ১০ ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়। ৫ বছর আগে তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়ে নিউজিল্যান্ডে যান। সেখানে তিনি দুই ছেলে স্ত্রীসহ বসবাস করছিলেন। বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসী হামলায় তার নিহত হওয়ার খবর শোনার পর নিউজিল্যান্ডে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।
এব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান জানান, নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ড. সামাদ আজাদের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছি।
এদিকে ড. সামাদ আজাদের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নাগেশ্বরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ। মসজিতে সন্ত্রাসী হামলায় মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বিকেলে নাগেশ্বরী উপজেলা শহরে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
বাকৃবি সংবাদদাতা জানান, তার সহকর্মী কৃষিতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ পাঁচবছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরি ছেড়ে নিউজিল্যান্ডের পাড়ি জমান। ক্রাইস্টচার্চের হামলার ঘটনায় ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ ও তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।