Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চকবাজারে কিশোর সিজান খুন

সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›েদ্ব

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:৪১ এএম

রাজধানীর চকবাজারের সিজান ওরফে বক্সার খুনের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছ্ েপুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›েদ্বর কারনেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা। গত ৭ মার্চ রাতে ঢামেকের পেছনে চাকু দিয়ে খুন করা হয় সিজানকে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ইমনকে (১৯) ও মুন্না মিয়া (১৮)। পিবিআই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বংশাল ও চকবাজার এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে দ্ব›দ্ব ছিল দীর্ঘদিন ধরে। একটি ইমন সমর্থিত এবং অন্যটি সিজান ওরফে বক্সার সমর্থিত। প্রভাব বিস্তারের জেরে দুই গ্রুপের বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন। দেড় মাস আগে এলাকায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সিজানের সঙ্গে ইমনের কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সিজান গ্রুপ ইমন গ্রুপের একজনকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। এরপরই ইমন ও মুন্নাসহ সিজান ওরফে বক্সারকে খুন করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৭ মার্চ রাত সোয়া ১১টায় মোবাইল ফোনে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ইমন-মুন্নাসহ সহযোগীরা পরস্পর ঢামেকের পেছনে সিজানকে চাকু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সিজান। ওই ঘটনায় সিজানের বাবা মুকুল মিয়া (৪৮) অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে চকবাজার মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন গত ১০ মার্চ (মামলা নং-১৬)।
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, চকবাজার থানা পুলিশের পাশাপাশি হত্যা রহস্য উদঘাটনে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) একটি বিশেষ টিমও অভিযানে নামে। পরে ঘটনায় জড়িত মূল আসামি ইমনকে (১৯) কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন লাইট হাউজ প্রধান সড়ক থেকে এবং মুন্না মিয়াকে (১৮) গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বংশাল বাংলাদুয়ার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইমনের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু ও সিজানের ব্যবহৃত মোবাইলফোন জব্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদে ক্লু- লেস সিজান হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তারা।
আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআইকে জানায়, বংশাল ও চকবাজার থানাধীন সুরিটোলা, চাঁনখারপুল ও মালিটোলা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপ রয়েছে। যার একটির নেতৃত্ব দিতো ইমন, আরেকটি সিজান ওরফে বক্সার। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্য সহযোগী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে ওই সূত্র জানায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ