পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আয় ও প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। প্রথম প্রান্তিকে বাজেট ভারসাম্য অনুকূলে থাকায় ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করা হয়নি; বরং পূর্বের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিকে সাধারণ ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি উভয়ই গড় কমেছে। স্বাভাবিক সরবরাহ পরিস্থিতি, সহায়ক মুদ্রানীতি এবং বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানী তেলের কম মূল্য মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
গতকাল সংসদ অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী জানান, বিগত দুই মেয়াদে উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের যে অভিযাত্রা ছিল তা অব্যাহত থাকবে কাঙ্খিত গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত। আমাদের রয়েছে অকুতোভয়, সৃজনশীল ও কর্মঠ জনশক্তি। শেখ হাসিনার সাহসী, প্রাজ্ঞ, গতিশীল ও জন-হিতৈষী নেতৃত্বের মাধ্যমে এই জনশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে এবং সর্বমহলের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে আমরা ২০৩০ সালনাগাদ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন এবং উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ নাগাদ উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে। সর্বোপরি ব-দ্বীপ পরিকল্পনা তথা ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়নের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে আমরা সক্ষম হবো। আমি আস্থার সঙ্গে বলতে পারি যে, সঠিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, সুদূরপ্রসারী কৌশল ও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবো, অর্থাৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো ইনশাল্লাহ।
প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী জানান, এই সরকারের কান্ডারি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা রেখে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে যেতে চাই। বর্তমান অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থনীতির খাতভিত্তিক অগ্রগতির যে চিত্র, তাতে আশাবাদী হওয়ার পূর্ণ সুযোগ রয়েছে। যেমন- বিগত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে এবং ব্যক্তিখাতের ঋণপ্রবাহের প্রসার ঘটেছে।
মন্ত্রী জানান, খাদ্য মূল্যস্ফীতিসহ সার্বিক মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে ছিল বাজেটের প্রথম প্রান্তিকে। উন্নত অর্থনীতির দেশসমূহের প্রবৃদ্ধির ফলে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রবাসে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আবার চলমান মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে অগ্রগতি ও বিদ্যুত-জ্বালানী খাতে উন্নতি সাধিত হয়েছে।
মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল আরও জানান, সরকারের সর্বশেষ দুই মেয়াদে ধারাবাহিক উচ্চহারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেকর্ড ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির একটি শক্তিশালী ধারা সৃষ্টি হয়েছে। চলতি অর্থবছর আমাদের সরকারের একটানা তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছর। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে, বর্তমান অর্থবছরেও অর্থনৈতিক উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখা হবে। প্রথম বছরটিতে আমরা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখছি বিগত এক দশকে দেশের সার্বিক সামষ্ঠিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখায় সরকার যে অভূতপূর্ব সাফল্য প্রদর্শন করেছে, সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতি যেন উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনের পথে অগ্রসর হতে পারে।
অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সরকারের গত দুই মেয়াদে আমরা আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রার বহু গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করেছি। সরকার পরিকল্পিত ও অন্তভূক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০০৭ থেকে শুরু হওয়া বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার দীর্ঘায়িত প্রভাব ও সময়ে সময়ে উদ্ভুত দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাকে প্রজ্ঞা ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে। দেশে ধারাবাহিকভাবে ও উচ্চ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যা সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেকর্ড ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। রাজস্ব ও মুদ্রানীতির যথাযথ সমন্বয়, সার্বিক আর্থিক শৃঙ্খলা ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মাধ্যমে সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মাথাপিছু আয়, খাদ্য উৎপাদন, বিদ্যুত উৎপাদন, আমদানি-রফতানি, প্রবাস আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিগত দশ বছরে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেছে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।