পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার প্রকৌশলী মহিউদ্দিনকে হাতকড়া পড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউএনও জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিককে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলীরা। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না হলে আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছে প্রকৌশলীরা। সরকারি কর্মচারি আইন ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা অনুযায়ী, কোন ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযুক্ত হওয়ার পূর্বে কোন সরকারী কর্মকর্তাকে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতারের কোন বিধান নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো: আবু জাকির সেকান্দার। অথচ আইন অমান্য করে উপজেলা প্রকৌশলীকে হাতকড়া পড়িয়েছিলেন ইউএনও জসীম উদ্দিন।
এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল কবীর মুরাদ ইনকিলাবকে বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার কর্মচারীরা তাকে মারতে আসছিলো তখন ইউএনও জসীম উদ্দিন উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
হবিগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো: আবু জাকির সেকান্দার ইনকিলাবকে বলেন, বাহুবল উপজেলার ইউএনও জসীমউদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে সরকারি টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। গত ৬ মার্চ আরো কিছু ভুয়া বিলা নিতে আসায় উপজেলা প্রকৌশলী মহিউদ্দিন স্বাক্ষর করেনি। তখন থানার পুলিশ ডেকে নিয়ে ইউএনওর অফিস রুমে তাকে হাতকড়া পরানো হয়। এটা একজন ইউএনও করতে পারে না। উপজেলা প্রকৌশলীও একজন বিসিএস কর্মকর্তা। ইউএনও’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে আবেদন দেয়া হয়েছে।
বাহুবল উপজেলার ইউএনও জসীমউদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, উপজেলার প্রকৌশলী মহিউদ্দিন যোগদান করার পর থেকে সঠিক সময় অফিসে আসে না। ফোন দিলে ফোন ধরেন না। তার বিরুদ্ধে প্রধান প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী মহিউদ্দিন সাহেব হরিপদ নামে এক কর্মচারীকে মারধর করছিলো তখন অনেক লোক উপজেলা প্রকৌশলী আটক করেছিল।
উপজেলা প্রকৌশলী মহিউদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, ইউএনও জসীমউদ্দিন সাহেব এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে সরকারি টাকা ভুয়া বিলের নামে তুলে নিচ্ছেন। তিনি সরকারঘোষিত পরিত্যক্ত বাসায় বসবাস করে আসছেন। ওই বাসা উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণ কাজ দেখিয়ে ভুয়া বিল নিয়েছেন। একইভাবে আবার টাকা নিতে চেয়েছিলেন। এতে আমি দ্বিমত করলে তার সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তখন পুলিশ ডেকে আমার অফিস থেকে হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যান।
অভিযোগে বলা হয়, ইউএনও জসীমউদ্দিন এই উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে পরিত্যক্ত ঘোষিত সরকারি বাসায় বসবাস করে আসছেন। পরিত্যক্ত ঘোষিত বাসা বিধায় তিনি সরকার নির্ধারিত ভাড়া প্রদান না করে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণ কাজ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে আসছেন। সরকারি টাকা না দিতে উপজেলা প্রকৌশলী দ্বিমত পোষন করেন। তখন থেকে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ধরণের অনিয়ম ছাড়াও ইউএনও জসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে অনেক দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে যোগ সাজশ করে এডিপি এবং ভূমি উন্নয়ন তহবিল (১% ভূৃমিকর তহবিল) এর টাকা লোপাট করেছেন। সাতকাপন ইউনিয়নের ১% ভূমিকর তহবিলের একটি কাজের বিল প্রদানের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে চাপ সৃষ্টি করেন। উপজেলা প্রকৌশলী বিল, ভাউচারে অনিয়ম থাকায় এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে মাটির কাজ করায় বিল প্রদানে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনার পরই ইউএনও বেলা সাড়ে এগারটায় নিজে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে অবৈধ বিচার সভা বসিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে হাতকড়া পড়ান। যা নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।