চট্টগ্রামের বাজারে গোশতের দাম আরও এক দফা বেড়েছে। গরু গোশতের কেজি (হাড় ছাড়া) ৭০০ টাকা এবং হাড়সহ ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির গোশত প্রতি কেজি ঠেকেছে ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের দাবি পিকনিক, বিয়ে-শাদীসহ সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে গোশতের দাম চড়া। তাছাড়া ভারত থেকে কিছু গরু আসলেও সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে তাও বন্ধ হয়ে গেছে।
এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। বেড়েছে মুরগির দামও। দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪১০ টাকা। সোনালিকা ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দামও প্রতি ডজন ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে মূল্যের কিছুটা তারতম্য রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার নগরীর চকবাজার, কাজির দেউড়ি ও রেয়াজুদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ এবং সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত। সবজির দাম নাগালের মধ্যে থাকলেও মাছের দাম চড়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েকদিনে বৈরি আবহাওয়ার কারণে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। আর এ কারণে দাম বাড়ছে। শীতের সবজির দাম স্বাভাবিক থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম। বাজারে ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, তিতা করলা ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ২০ টাকা, আলু ১৫ টাকা, দেশি আলু ৩৫-৪০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, লাউ ২০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টমেটো ২০-৩০ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকা, শিম বিচি ৬০-৬৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, গাজর ২০ টাকা, শসা ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৩০-৪০ টাকা, শুকনো মরিচ ১০০-১২০ টাকা, হলুদ প্রতিকেজি ১১০ টাকা, আদা ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম আরও এক দফা বেড়ে ১০০-১১০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১২০ টাকা।
ইলিশ মাছ সাইজভেদে ৬০০-১০০০ টাকা, কাতলা মাছ ১৫০-২০০ টাকা, পোয়া ১৮০-৩৫০ টাকা, কোরাল ৫৫০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৫৫০-৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬৫০ টাকা, দেশি কৈ মাছ ৫০০-৭০০ টাকা, শিং ৬০০-৭০০ টাকা, মাগুর ৫০০-৬৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০-৬৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।